এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) দেয়া শুরু হবে ৫ অক্টোবর থেকে। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে নয় অঞ্চলের নয়টি থানা ও উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এর ফলে এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রায় চার দশকের ভোগান্তির অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ইএফটিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেয়ার সব কার্যক্রম শেষ হয়েছে। শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা। শুরুতে সারা দেশে শতভাগ শিক্ষক- কর্মচারীর বেতন এই পদ্ধতিতে দেয়া সম্ভব নয়। তবে ধীরে-ধীরে এটা বিস্তৃত হবে। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে ইএফটি ছাড়া কোনো শিক্ষক-কর্মচারী বেতন পাবেন না।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয় অক্টোবরে পরীক্ষামূলকভাবে ইএফটিতে বেতন দেয়া শুরু হবে।
সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও সিস্টেমে সংরক্ষিত সব শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্যের সঙ্গে এনআইডির তথ্য সংযুক্ত করে ডাটাবেস তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। একই সময়ের মধ্যে অর্থ বিভাগের ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের (আইবাস ডাবল প্লাস) সঙ্গে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস (এপিআই) স্থাপন করতে হবে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে পাঠানোর জন্য নয় অঞ্চলের নির্ধারিত ৯টি উপজেলা বা থানা পাইলটিং করতে হবে। এসব উপজেলার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ইএফটিতে দেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বর্তমানে ত্রিশ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত সাধারণ হাইস্কুল-কলেজ ও মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর টাকা হাতে পেতে চার দশকের পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। তিনটি অধিদপ্তর থেকে এমপিওর খবর জানতে শিক্ষকদের নির্ভর করতে হয় শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম ও শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সরকারি ওয়েবসাইটের ওপর।
এমপিওর চেক ছাড়ের খবর প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে অধিদপ্তরগুলো থেকে চিঠি পাঠানো হয় তথ্য অধিদপ্তর এবং পত্র-পত্রিকায়।