ঢাকা রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

হাসিনার নামে ৩ মেডিক্যাল কলেজ

৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টিই শেখ পরিবারের নামে

শিক্ষা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:৩০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টিই শেখ পরিবারের নামে

দেশের ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টিতেই জড়িয়ে আছে মাত্র ৫৫ দিন আগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নাম। এগুলোর মধ্যে শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই আছে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। আর শেখ হাসিনার নিজের ও তার মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে আছে আরো দুইটি করে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। তার মানে আওয়ামী লীগ আমলে প্রতিষ্ঠিত ২৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশী শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের কারো নামে। এছাড়া তিনটি মেডিক্যাল কলেজও আছে হাসিনার নামে। 

শেখ পরিবারের নামে তৈরি করা হলেও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট জেলা বা সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যের অবদানকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তৎকালীন সচিব ফেরদৌস জামানসহ অনেক কর্মকর্তা অতি উৎসাহে এসব নাম অনুমোদন দিলেও এখনকার কর্মকর্তারা বলছেন, এভাবে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই নাম ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। এই নাম পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এসব নাম জেলার নামেই হওয়া উচিত। একই নাম কিভাবে এতো বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায়েও কাজ চলছে বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছে ইউজিসি সূত্র।

প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের আমলে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। অবশিষ্ট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রতিষ্ঠা করা হয় গত ১৪ বছর আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকাকালে। আর শেখ হাসিনার নামে মেডিক্যাল কলেজ তিনটিও গত ১১ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালেই প্রতিষ্ঠিত। এগুলোর বাইরে মেহেরপুরে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় নামে আরো একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। 

বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই শুরুতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ থাকায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে দেখা গেছে। তার নামে আছে  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মেরিটাইম, অ্যারোস্পেস, ডিজিটাল ইত্যাদি ইউনিভার্সিটি। 

যেমন ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও গোপালগঞ্জে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১১), ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৩), গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৮) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৯), কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (২০২০), পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০২২), নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (২০২৩)। এগুলোর মধ্যে গোপালগঞ্জের ও পিরোজপুরের বিশ্ববিদ্যালয় দুটির একই নাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

এ ছাড়াও শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনীর নামে জামালপুরের আছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৭) এবং সিলেটে আছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৮)। আর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর নামে নেত্রকোণায় আছে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৮) ও খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (২০২১)। 

এছাড়া শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ নামে জামালপুর (২০১৪), টাঙ্গাইলে (২০১৪) ও হবিগঞ্জে (২০১৭) তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফয়েজ বলেন, এই বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুনছি। উচ্চপর্যায় থেকে চিন্তা-ভাবনা চলছে। একই নাম কিভাবে এত বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। তবে নাম পরিবর্তনের যদি কোনো বিষয় আসে সেটি অবশ্যই সরকারের দায়িত্ব।

জানা গেছে, তৎকালীন সরকারের একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী শেখ পরিবারের নাম ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুযোগ নিয়েছিল। কারণ শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের কারো নাম ব্যবহার করলে দ্রুত প্রকল্প পাস করানো সম্ভব হতো। জমি কেনা ও ভবন তৈরিতে কোটি কোটি টাকা কামানো যেতো। বিপরীতে অন্য কারো নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে কারো নাম জুড়ে দিতে চাইলে পদে পদে বিপত্তির সৃষ্টি করা হতো। এমনকি নানা টালবাহানা করতো ইউজিসিও। যেমন গত বছর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও রয়েল ইউনিভার্সিটির নাম বদলাতে চেয়ে ইউজিসিতে আবেদন করা হয়। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার নামে করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের প্রস্তাবিত নাম ‘স্যার ফজলে হাসান আবেদ ইউনিভার্সিটি, যা সংক্ষেপ করে করা হয় ‘আবেদ ইউনিভার্সিটি। জানা গেছে, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতার প্রতি সম্মান জানানোর এ উদ্যোগে খুশি ছিলো।

এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেসরকারি ‘রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র নাম পরিবর্তনের আবেদন করে ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক এমপি ডা. এইচবিএম ইকবালের প্রয়াত স্ত্রীর নামে ‘ডা. মমতাজ বেগম রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’করার জন্য সরকারের অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু ব্র্যাকের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনেরও অনুমতি মেলেনি। 

ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয় নাম পরিবর্তনে সরকারের অনুমতি পেয়েছে; সেটি হলো ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স। রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে নাম ছিল ‘স্কলার্স ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তিন মাস আগে তারা নাম পরিবর্তনের অনুমতি পায়।

ইউজিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত সরকারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর আইন, ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ এর ২ নং আইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পিরোজপুর শহরে সাময়িকভাবে তিনতলা বিশিষ্ট একটি ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে দাপ্তরিক যোগাযোগ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ঢাকায় মিরপুরে একটি লিয়াজোঁ অফিস খোলা হয়েছে। 

সাবেক রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদের বিশেষ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কিশোরগঞ্জ জেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ আইন ২০২০ (২০২০ এর ১৭ নং আইন, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০) বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রণীত হয়েছিল।

আইনটি ২০২০ খ্র্রিষ্টাব্দে সংসদে পাস হয়। এই আইনের বিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হবে। কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা ও রঘুনন্দনপুর মৌজায় ১০৩ দশমিক ৮৭ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হবে। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে মিঠামইন রোডের দিকে প্রায় ৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৯ এর ২৮ ফেব্রুয়ারি। এই বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস লালমনিরহাট, যার কার্যক্রম চলমান বলে জানা গেছে।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ৪৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০১৭ এর ২৪ নং আইন অনুযায়ী ২০১৭ এর ২৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০০ একর জমি অনুমোদন করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মির্জা আজমের প্রচেষ্টায় জামালপুর জেলায় একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শেখ মুজিবুর রহমানের নামে তৈরি করা হলেও ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট জেলা বা সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যের অবদানকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ, সরকারি অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বিশেষায়িত ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। সরকার কর্তৃক জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ২০১৬ এর ২৬ জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক সংলগ্ন এলাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। এই ইউনিভার্সিটি ২০১৯ এর মার্চ থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সরকারি অর্থায়নে ১৩তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গাজীপুরের সালনায় অবস্থিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত একটি আইনসহ একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ ইন এগ্রিকালচার (আইপিএসএ) রূপান্তরিত করে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি একাডেমিক অঙ্গ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিজ্ঞান কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯১ পর্যন্ত একাডেমিকভাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত ছিল। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে এটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জানায়, জেলা পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো জেলার নামে হওয়াই সমীচীন। যেমন রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। একই নামে ওই জেলায় একাধিক কলেজ আছে। এতে নামের বিভ্রাট তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধুর নামের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও একই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

নামের বিষয়ে এই দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, স্ব-স্ব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংসদে ওঠার পর সেখানে নাম প্রস্তাব করা হয়। সেখান থেকেই আইন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। নাম পরিবর্তনের জন্যও একই পদ্ধতিতে অর্থাৎ সংসদে উত্থাপনের পর পরিবর্তন করতে হবে।

জনপ্রিয়