স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫১তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৩ অক্টোবর। আগামী ৩০ অক্টোবর এ প্রতিযোগিতা শেষ হবে। গতকাল মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন সকালে ৮ থেকে ৩০ অক্টোবর এই প্রতিযোগিতা হবে হবে জানিয়েছিলো অধিদপ্তর। কিন্তু, সূচি নিয়ে হিন্দু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। কারণ ওই সূচিতে ৯ থেকে ১২ অক্টোবর অবধি থানা ও উপজেলা স্তরের প্রতিযোগিতা রাখা হয়েছিলো। একই সময়ে দুর্গাপূজা হবে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। সন্ধ্যা নাগাদ সূচি পরিবর্তনের নতুন চিঠি প্রকাশ করা হয়। নতুন সূচিতে দুর্গাপূজার সময়ে কোনো প্রতিযোগিতা রাখা হয়নি।
নতুন চিঠিতে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তারপর উপজেলা-থানা, জেলা, উপ-অঞ্চল, অঞ্চল ও সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা হবে। এ প্রতিযোগিতায় তিনটি খেলা থাকছে। এগুলো হলো- কাবাডি, দাবা ও সাঁতার।
প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে (স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি-ভোকেশনাল) এ প্রতিযোগিতা হবে ৩ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। তারপর উপজেলা ও থানা পর্যায়ে ৬ থেকে ৮ অক্টোবর, জেলা পর্যায়ে ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর, উপ-অঞ্চল পর্যায়ে ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর, অঞ্চল পর্যায়ে ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর এবং সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ে ২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিযোগিতার সাধারণ নিয়মাবলিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত নিয়মানুসারে সব খেলা পরিচালিত হবে। বিদ্যালয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র এবং টি.সি. (মূল কপি) অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ইএসআইএফ লিস্টের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। লেমিনেটিং কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডির অনলাইন কপি প্রদর্শন করতে হবে। ৮ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জে.এস.সি রেজিস্ট্রেশন কার্ড এর মূলকপি এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অনলাইন ভেরিফিকেশন জন্ম নিবন্ধন কপি (রঙিন) প্রদর্শন করতে হবে। বিদ্যালয়ের ইআইআইএন নম্বর গঠনতন্ত্রের ‘ক’ ফরমের উপরে উল্লেখ করতে হবে। স্ব-স্ব দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানের পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করবেন এবং প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।
একই প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ও কারিগরি (ভোকেশনাল) শিক্ষার্থী থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদেরকে নিয়ে দল গঠন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স অনূর্ধ্ব ১৭ বছর হতে হবে এবং গঠনতন্ত্রের অন্যান্য নিয়মাবলি যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন-সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উপজেলা ও থানায় বিজয়ীদের তালিকা খেলোয়াড়দের ছবিসহ জেলা পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের তালিকা উপ-অঞ্চল পর্যায়ে এবং পিডিএফ ফাইলে ইমেইলে ([email protected]) পাঠাতে হবে। উপ-অঞ্চলে বিজয়ীদের তালিকা অঞ্চল পর্যায়ে এবং অঞ্চল পর্যায়ে বিজয়ীদের তালিকা জাতীয় পর্যায়ে সম্পাদকের কাছে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিল-স্বাক্ষরসহ পাঠাতে হবে।