ঢাকা সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৫ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

পাঠ্যবই ছাপার আদেশ দেয়নি এনসিটিবি

শিক্ষা

মিথিলা মুক্তা, দৈনিক আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ০০:২০, ২ অক্টোবর ২০২৪

সর্বশেষ

পাঠ্যবই ছাপার আদেশ দেয়নি এনসিটিবি

৪০ দিন সময় দিয়ে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি জানিয়ে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্তারা জানিয়েছেন, সংশোধিত ও পরিমার্জিত বিনামূল্যের পাঠ্যবই যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে কোনো সমস্যা দেখছেন না তারা।

তাদের আশা, ডিসেম্বরের মধ্যেই পাঠ্যবই ছাপা শেষ করা যাবে। বই ছাপার টেন্ডারে যারা অংশ নেবেন তারা শর্ত মেনেই নেবেন। বই ছাপা ও বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডও (এনসিটিবি) তাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে। ছাপার কাগজ পাওয়া নিয়েও কোনো সমস্যা হবে না বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান। 

করোনাকালের বই ছাপার অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে রিয়াজুল হাসান বলেন, ওই সময়ে খুবই কম সময়ে বই ছেপে যথাসময়ে সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। পিপিআর অনুযায়ী দুর্যোগকালে সময় কম দিয়েও টেন্ডার আহ্বান করা যায়। সুতরা ছাপার জন্য কম সময় বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তোলারও সুযোগ নেই।

এনসিটিবি বলছে, ৩৬ কোটি পাঠ্যবই ছেপে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে প্রক্রিয়া শুরু করলে ডিসেম্বরের মধ্যেই বই ছাপা সম্ভব।

তবে, কোনো কোনো মুদ্রণকারীদের মতে, এই সময়ের মধ্যে পুরো সেট পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব নাও হতে পারে। অতীতেও কখনোই প্রথম দিনে পুরো সেট বই শিক্ষার্থীরা হাতে পায়নি। পুরো সেট বই পেতে কমপক্ষে একমাস অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রতিবছরই। কখনো ফেব্রুয়ারি/মার্চ পর্যন্ত সময় লেগেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আগে শুধু প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যের পাঠ্যবই দেয়া হতো। গত ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ শুরু করে।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিনামূল্যের পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জনের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করলেও নতুন করে আর কোনো কমিটি গঠন করার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্রের তথ্যমতে, এরই মধ্যে পাঠ্যবই সংশোধনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষে সংশ্লিষ্টরা এনসিটিবির কাছে তা হস্তান্তর করবেন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশোধিত বইয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নতুন শিক্ষাক্রম থাকবে না বলে জানায়। সেই হিসেবে নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর রচিত বইগুলোতে সংস্কার আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে কিছু আধেয় (কনটেন্ট) বাদ দেয়ার পাশাপাশি মূল্যায়নের পরিবর্তে সৃজনশীল প্রশ্ন যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এর অংশ হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠ্যবই পরিমার্জন ও সংশোধনে শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি গ্রুপ করে দেয়া হয়।

জনপ্রিয়