ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪ , ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

ওএসডি ডিডি সেই রেবেকাকে কড়া সতর্কবার্তা

শিক্ষা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ৩ অক্টোবর ২০২৪

সর্বশেষ

ওএসডি ডিডি সেই রেবেকাকে কড়া সতর্কবার্তা

নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত মাউশি অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের সদ্য ওএসডি ডিডি সেই রেবেকাকে কড়া সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। ওএসডি আদেশ হওয়ার পরও মন্ত্রণালয়ের একজন ‘ভাইয়ের’ মৌখিক নির্দেশে অফিসে বসে ফাইল সই করছিলেন। গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে তাকে ডাকা হয়েছে।

কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। ওএসডি আদেশের পরও কেন অফিসে বসছেন, ফাইল সই করছেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধমকাচ্ছেন। অধিদপ্তরের কর্তাদের এমনসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রেবেকা। শুধু একবার বলতে চেয়েছিলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অমুক ভাই বলেছেন নতুন অফিসার না দেওয়া পর্যন্ত বসতে।’ এর জবাবে অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে অফিস না ছাড়লে বিভাগীয় ব্যবস্থা। েএকাধিক প্রতক্ষ্যদরর্শী দৈনিক আমাদের বার্তাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার গত মার্চ মাসে একবার বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয় রেবেকা সুলতানাকে। এর আগেও গত ২৫ বছরে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ ও শাস্তি হয়েছে । 

আরো পড়ুন: 

দৈনিক শিক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর সেই ডিডি রেবেকাকে ওএসডি

সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি

সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি!  শিরোনামে দৈনিক শিক্ষাডটকম-এ গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশ হয়ে। প্রতিবেদনটি পাঠ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তারা রেবেকাকে ফের ওএসডি করার সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু গত কয়েকদিন রেবেকা নানাভাবে তদবির করে তা ঠেকানার চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে ২২ সেপ্টেম্বর আবার ডিডি পদ থেকে সরিয়ে মাউশি অধিদপ্তরে ন্যাস্ত করে আদেশ জারি করে। 

রেবেকাকে ডিডি করায় তীব্র প্রতিবাদ জানান এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী ও সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা। তারা গত ২০ বছরে রেবেকার কৃত অপকর্মের শাস্তি দাবি করেন। দৈনিক শিক্ষায় গত ১৪ বছর ধরে রেবেকাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া শাস্তির তথ্য মনে করিয়ে দেন বর্তমান শিক্ষা প্রশাসনের কর্তাদের।  

আরো পড়ুন

তেজগাঁও সরকারি গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেবেকার যত অপকর্ম

শিক্ষকের ‘ঠ্যাং কেটে দেওয়ার’ হুমকি প্রধান শিক্ষকের কক্ষে

  গত ২০ বছরে কৃত অপরাধে তার বরখাস্ত হওয়ার কথা । কিন্তু না, তার বদলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার ঢাকা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। তার পুরো নাম মোসা. রেবেকা সুলতানা। মূল পদ সরকারি হাইস্কুলের প্র্রধান শিক্ষক। গত ১৩ সেপ্টম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে ঢাকা অঞ্চলের ডিডি পদে বসানোয় অবাক হয়েছেন শিক্ষাখাতের অনেকেই। 

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন রেবেকার জন্য অনেকবার শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ, দীপু মনি ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবদের তদবির করেছেন। দুর্নীতির দায়ে রেবেকাকে বরখাস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। এমন কথা শিক্ষা খাতে সবার মুখে মুখে। পলাতক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও রেবেকার ভালো পদায়নের জন্য ডিও লেটার ও সুপারিশ করেছেন।   

রাজধানীর শহীদ মনু মিয়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত ও অবৈধভাবে বসবাস করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২০ মার্চ তার বেতন একধাপ নীচে নামিয়ে দেওয়া হয়।  

এর আগে, নানা অপকর্মের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত হয়েছেন মোসা. রেবেকা। তিনি তেজগাঁও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই পরিবার নিয়ে স্কুলের তিনটি কক্ষে রাত্রিযাপন করেছিলেন। শুধু তাই নয়। স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকদের নিয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট স্কুল ক্যাম্পাসে অবৈধ কোচিং, নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ভাড়া দেয়াসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া ট্রান্সফার সার্টিফিকেট চাওয়া ছাত্রীদের কাছে পুরো বছরের সেশন চার্জ বাবদ এক হাজার পাঁচশ টাকা আদায় করার অভিযোগ রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে। 

স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে তখন জানান, রেবেকার অবৈধ রাত্রিবাসের বিরুদ্ধে দেয়া লিখিত অভিযোগ নিয়ে তারা কথা বলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকের সঙ্গে। ছাত্রীদের স্কুলে ক্যামেরা হাতে অপরিচিত লোকদের আনাগোনা, স্কুলের ৫ তলা ভবনের ৫ তলার তিনটি কক্ষ স্কুলের খরচে সুসজ্জিতকরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

এ খবর পেয়ে রেবেকা ব্যাকডেটে মহাপরিচালকের কাছে একটি আবেদন করেন। আবেদনে তিনি স্কুলের দুটি কক্ষে থাকার অনুমতি প্রার্থনা করেন। 

কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেবেকাকে স্কুল ক্যাম্পাসেই রাত্রিবাসের অনুমতি দেয়া হয়নি। বাস্তবে তিনি গত কয়েকমাস যাবত স্কুলেই থাকছেন।  

জনপ্রিয়