ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ , ৬ কার্তিক ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের মৌখিক: কোটার ব্যাখ্যায় আটকে আছে ফল

শিক্ষা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:১০, ২১ অক্টোবর ২০২৪

সর্বশেষ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের মৌখিক: কোটার ব্যাখ্যায় আটকে আছে ফল

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার মৌখিক পরীক্ষা শেষ হলেও দীর্ঘদিনেও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হচ্ছে না। এ নিয়ে হতাশায় রয়েছেন নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা প্রায় অর্ধলাখ চাকরিপ্রার্থী।

মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিষয়ে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় রয়েছে বিষয়টি। তাই ফল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

গতকাল রোববার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কোটা বিষয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হবে নাকি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাই ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়। বাকি ২০ শতাংশ পদে পুরুষদের নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এরই কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। এতে ৯৩ শতাংশ মেধা ও বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। নারী ও পোষ্য কোটা না থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তখন তিনি বলেন, প্রাথমিকের কোটা পদ্ধতি থাকবে কি না, সে বিষয়ে জনপ্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। মতামত পাওয়ার পর এ নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

এর আগে তৃতীয় ধাপের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ থাকায় আপিল বিভাগ আদেশ দিয়েছিলেন চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে তদন্ত কমিটি করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে। যেসব জেলায় এ নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিলো, সেসব জেলা অর্থাৎ মাদারীপুর ও রাজবাড়ী জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাক্ষ্য এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তাই এই ফল প্রকাশে এখন আইনি বাধা নেই, তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটার বিষয়ে ব্যাখ্যা না দেয়ায় ফল প্রকাশ করতে পারছে না অধিদপ্তর।

প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯–এ বলা হয়েছে, নারী, পোষ্য ও পুরুষ- এই তিন কোটার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এভাবে তিন কোটায় বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া যাবে।

গত ২৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটাসংক্রান্ত আগের সব পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, আদেশ, নির্দেশ, অনুশাসন রহিত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে।

গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলো, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে এই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলো আদালত। অনুসন্ধান করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়।

২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ জুন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের ৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল পরদিন প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

জনপ্রিয়