জয়পুরহাটে চেক ডিজঅনারের মামলায় এক কলেজ শিক্ষকের ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাট যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক সাজেদুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফিরোজ উদ্দিন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বরতারা ইউনিয়নের তারাকুল (কৃঞ্চনগর) গ্রামের কে ইউ এম ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার আশরাফপুর জে. আই সিনিয়র মাদরাসার প্রভাষক (ইংরেজি) পদে কর্মরত আছেন। রায়ের সময় আসামি ফিরোজ উদ্দিন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মাহফুজার রহমানের সঙ্গে আসামি সুপরিচিত ও একই জেলার বাসিন্দা। পরিচয়ের সূত্র ধরে বাদীর কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা ধার নেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার আশরাফপুর জে. আই সিনিয়র মাদরাসার প্রভাষক (ইংরেজি) ফিরোজ উদ্দিন ওরফে পাশা। ফিরোজ বাদীকে নগদ টাকা না দিয়ে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের একটি ৯ লাখ টাকার চেক দেন। পরে টাকা উত্তোলনের জন্য বাদী মাহফুজার ওই চেক ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় আসামি ফিরোজ উদ্দিনের অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। পরে এ ঘটনায় বাদী আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে জয়পুরহাট বিজ্ঞ আমলি আদালত-৫ এ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রাপ্ত হওয়ার পর আদালতে হাজিরা দিলেও পরে আসামি পলাতক হন। ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামি ফিরোজ উদ্দিন দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন আদালত।
এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুল হাসান পলাশ জানান, চেক ডিজঅনারের মামলায় আসামি ফিরোজ উদ্দিনের ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড রায় দিয়েছে আদালত।
অপরদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশসহ একাধিক দপ্তরে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ অর্থআত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক ফিরোজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।