পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ পেলেও চূড়ান্ত সুপারিশে টেকনিক্যাল কারণে বাদপড়া ৮২ জন প্রার্থীর কপাল খুলেছে। এই প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশে অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন মিলেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৮২ জন শিক্ষককে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে মেধাক্রম অনুযায়ী বিধি মোতাবেক চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সম্মতি দিয়েছে।
এর আগে টেকনিক্যাল কারণে বাদপড়া প্রার্থীদের অঅবেদনের প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সুপারিশে অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন চেয়ে তালিকাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তালিকায় দেখা যায়, আইসিটি, ফিনান্স–ব্যাংকিং ও বিমা, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন বিভাগের প্রভাষক পদের প্রার্থীরা রয়েছেন। যাদের কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও টেলিটকের টেকনিক্যাল কারণে চূড়ান্ত সুপারিশ করা যায়নি।
গত ১৯ আগস্ট পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। এতে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২২ হাজার ৩৩ প্রার্থীর মধ্য থেকে ১৯ হাজার ৫৮৬ জনকে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারনী সনদ দেয়া হতো সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত।