বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি থাকবে কি না, তা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে সভা ডেকেছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই সে সভা শেষ হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযাগ কর্মকর্তা সিরাজ উদ-দৌলা খান জানান, সভায় গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তির বিষয়ে বিভিন্ন সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেছেন প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা ২৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, শুধু জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এরই মধ্যে প্রকৌশল গুচ্ছও ভেঙে যাচ্ছে। এ গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া কৃষি গুচ্ছে থেকে বের হয়ে এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জিএসটি অ্যাডমিশন সিস্টেম বা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হলো বাংলাদেশের একটি বার্ষিক সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের ৯টি সাধারণ, ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ১টি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির যোগ্যতা নিরূপণ করা হয়।
গুচ্ছ প্রক্রিয়া ছাড়াও দেশের ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের জন্য পৃথক গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা এবং তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। এর বাইরে আরো তিনিটি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে চলতি বছরে।
১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যাদেশের অধীনে পরিচালিত চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট ছাড়াও কয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আওতাধীন নয়।
তবে বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব সরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একক সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।