ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

সিডি নিতে নিষিদ্ধ নোট-গাইড কোম্পানি মালিকরা এনসিটিবিতে!

শিক্ষা

মিথিলা মুক্তা, আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ০৮:০০, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

সিডি নিতে নিষিদ্ধ নোট-গাইড কোম্পানি মালিকরা এনসিটিবিতে!

বরাবরের মতোই এবারো পাঠ্যবইয়ের পান্ডুলিপির সিডি (কমপ্যাক্ট ডিস্ক), সিলেবাস ও নম্বর বণ্টন নিতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এনসিটিবিতে ঘুরঘুর করছেন নিষিদ্ধ নোট-গাইড কোম্পানির কতিপয় মালিক। যদিও গত ১৫ বছরে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে আইনে নিষিদ্ধ নোট-গাইডকে সহায়ক বই নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে যাহা লাউ তাহাই কদু। আর পাঠ্যবই ছাপা স্থগিত রেখে নোট-গাইড বই ছাপছেন বই ছাপার ঠিকাদাররা। ফলে সময়মতো ৪১ কোটি পাঠ্যবই ছাপা ও বিতরণ নিয়ে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  

দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও দীপু মনির সিন্ডিকেট সদস্যদের অনেকেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে বিদায় হলেও এবারও চড়া দামে পাণ্ডুলিপির সিডি কিনতে গাইড বইয়ের মালিকরা ঘুরঘুর করছে বোর্ডের সম্পাদনা শাখায়। কোনো কোনো গাইড মালিক সিডি কিনে গাইড ছাপা শুরু করেছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে নজরে এসেছে কর্তৃপক্ষের। এ নিয়ে অফিস আদেশও জারি করেছে এনসিটিবি। এতে বলা হয়েছে, “এনসিটিবি কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকসমূহের সিডি/পান্ডুলিপি/ড্যামি সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে যেনো কোনোক্রমেই গাইডবই প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করা না হয় সে বিষয়ে অধিকতর সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলা হলো।”

পৃথক আদেশে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন, পাণ্ডুলিপি প্রণয়ন, সিলেবাস ও নম্বর বণ্টন, টেন্ডার ডকুমেন্ট তৈরি, পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের জন্য সিডি প্রদান ইত্যাদি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। এসব কাজে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গোপনীয়তা রক্ষা করতে বলা হলো।   

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের চাইতে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সহায়ক বইয়ের নামে নিষিদ্ধ নোট-গাইড ছাপছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে অনুপম ও বারতুপা প্রকাশনী অন্যতম। এছাড়াও রাজধানীর মাতুয়াইলের বিভিন্ন ছাপাখানায় দেদার ছাপা হচ্ছে নোট-গাইড বই।    

ছাপাখানা মালিক ও এনসিটিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকবছর ধরে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সহায়ক বইয়ের নামে বিক্রি হওয়া ‘নিষিদ্ধ নোট-গাইড’ বইয়ের মুদ্রণ ও বাজারজাতকরণ বন্ধ রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে খোলাবাজারে এই ধরনের নিষিদ্ধ বইয়ের বিক্রি ঠেকাতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারদের চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেসবই ছিলো লোক দেখানো। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কোনো নজির নেই। 

বছরের এই সময়টায় পাঠ্যবই ছাপা হয়। এই সময়ে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি ‘নোট-গাইড’ বা ‘সহায়ক’ বই ছাপা হলে, বাজারজাতকরণ হলে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ ব্যাহত হয়। তাছাড়া এবার দেশের কাগজের ‘তীব্র’ সংকট রয়েছে।

জনপ্রিয়