ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কয়েকটি সংগঠনের ঐকমত্য, সভায় যায়নি ছাত্রদল

শিক্ষা

আমাদের বার্তা, ঢাবি

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কয়েকটি সংগঠনের ঐকমত্য, সভায় যায়নি ছাত্রদল

আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ক্রিয়াশীল ৩০ টি ছাত্র সংগঠন। তবে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ফেডারেশনসহ বামপন্থি আট ছাত্র সংগঠনের মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট সভায় অংশ নেয়নি।

তারা বলছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ছাত্র সংগঠনগুলোকে না নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় তারা যাননি।  

বুধবার  (৪ ডিসেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের সভা ছিল না। কিন্তু অনেক গণমাধ্যম সেটিকে প্রচার করেছে ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ড. ইউনূসের সভা। এতেই সমস্যাটি হয়েছে।

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি একটি প্রজন্মের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছিল। আজকের সভায় আমরা একমত হয়েছি– জানুয়ারির শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ডাকসুসহ সারাদেশে ছাত্র সংসদ শুরু হয়ে যাক। কারণ, মার্চে রোজা (মাহে রমজান)। এ বিষয়ে সভায় অংশ নেয়া সংগঠনগুলো একমত হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ঐকমত্য ছাড়াও আরেকটি বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি– আমরা যে সংস্কার চাচ্ছি, আগামী ২০ তারিখে সব ছাত্র সংগঠন সে বিষয়ে একটি করে প্রস্তাব দেবে। আজকে ৩০টি সংগঠনের নেতৃত্ব এসেছে। অনেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকটি প্রোগ্রামে যাওয়ায় উপস্থিত হতে পারেনি।

বৈঠকে অংশ না নেয়া প্রসঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, তারা ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর কাউকে রাখেননি। আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিন ছিলাম, সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আমাদের মিলেমিশে চলতে হয়। ভবিষ্যতে আলোচনায় যাবেন কিনা– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আলোচনায় যাব, তারাও আমাদের ডাকে আসবে। পারস্পরিক বোঝাপড়া তো থাকতে হবে।

ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, আমরা মনে করেছি, সবার মাঝে ঐক্য টিকিয়ে রাখতে পরিপক্ব আচরণ তারা করেননি।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, সভায় না যাওয়া আমাদের একটি প্রতিক্রিয়া। আমাদের ওভারলুক করে ওনারা নিজেরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে চলে গেছেন। 

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নূরুল বশর আজিজী বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রোগ্রামে ছাত্র সংগঠনগুলোকে ডাকেননি। বিপ্লবের অংশীদারদের মাইনাস করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সালমান সিদ্দিকী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠনের সময় বলা হয়েছিল– সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখন সব ছাত্র সংগঠনকে বাদ দিয়ে তারা এককভাবে অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

জনপ্রিয়