সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মোট ৭৬ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। গত কয়েক বছরের মতো আগামী বছর স্কুলগুলোতে ১৫ অগাস্ট শোক দিবসের ছুটি বাদ দেয়া হয়েছে। এ তালিকা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
ছুটির তালিকায় দেখা গেছে, মোট ৭৬ দিন ছুটির মধ্যে ২ মার্চ থেকে রমজান ধরে ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা, স্বাধীনতা দিবসসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ২৮ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ ছুটির পর ৮ এপ্রিল পুনরায় ক্লাস শুরু হবে।
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকবে টানা ১৫ দিন। এ ছুটি ১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে সাপ্তাহিক (শুক্র-শনি) ছুটি আছে চার দিন।
দুর্গাপূজায় এবার ৮ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্মী পূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা, ফাতেহা-ই-ইয়াজ দহমসহ বেশ কয়েকটি ছুটি আছে। এ ছাড়া এবারো প্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে সংরক্ষিত তিনদিন ছুটি রাখা হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক দিবস ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নিয়ম মেনে ছুটি থাকবে।
এর আগে, গত ২২ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, আগামী বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে একদিন সাপ্তাহিক ছুটিসহ পাঁচদিন ছুটি, ঈদুল আজহায় ছয়দিন, একদিন সাপ্তাহিক ছুটিসহ ও শারদীয় দুর্গাপূজায় দুইদিন ছুটি রাখা হয়েছে।
সবমিলিয়ে আগামী বছর সাধারণ ছুটি ১২ দিন ও নির্বাহী আদেশের ছুটি থাকবে ১৪ দিন। তবে সাধারণ ছুটির মধ্যে পাঁচ দিন এবং নির্বাহী আদেশের ছুটির মধ্যে চার দিনই সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।
ছুটির তালিকায় বলা হয়েছে, উল্লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত ১ বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি পরীক্ষার সময় ১২ কর্মদিবসের বেশি হবে না।
নিজ-নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া) নিজেরাই প্রণয়ন করবেন। কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো উৎস থেকে সংগৃহীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া যাবে না।
পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে।
কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে স্কুল ছুটি দেয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ রাখা যাবে না। সংবর্ধিত বা পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ‘যথাযোগ্য মর্যাদায় স্কুলে উদযাপন করতে হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।