সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নীতিমালার বাইরে কোনো আসন সংরক্ষণ, ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ অনিয়ম হচ্ছে কিনা তা তদারকিতে এবার বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে এনসিটিবির অনুমোদনবিহীন বই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে কিনা তাও দেখবে এই কমিটি। ঢাকা মহানগর, অঞ্চল, জেলা ও উপজেলাভিত্তিক আলাদা কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের এসব নির্দেশনা দিয়ে পাঠানো চিঠি গত মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
জানা গেছে, দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাধ্যমিক, নিম্ন- মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি-এন্ট্রি ক্লাস ও অন্যান্য শ্রেণির শূন্য আসনের বিপরীতে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্বাচিত তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে কিনা, প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শূন্য আসনের বিপরীতে বেশি-কম শিক্ষার্থীর চাহিদা অনলাইনে দিয়েছেন কিনা, ভর্তি নীতিমালার বাইরে কোনো আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে কিনা, শিক্ষার্থী ভর্তি, সেশন ফি ও ফরম পূরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ফি এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায়সহ এনসিটিবির অনুমোদনবিহীন বই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করছেন কিনা- এসব বিষয়ে গঠিত বিশেষ মনিটরিং কমিটিকে ঢাকা মহানগর, অঞ্চল, জেলা ও উপজেলাভিত্তিক আওতাধীন কর্ম এলাকা মনিটরিং করে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হলো।
কমিটির কর্ম পরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, অঞ্চল ভিত্তিক মনিটরিং কমিটি সংশ্লিষ্ট উপপরিচালক, জেলা ভিত্তিক মনিটরিং কমিটি সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা ভিত্তিক মনিটরিং কমিটি সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গঠন করবেন।
২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি-এন্ট্রি ক্লাস ও অন্যান্য শ্রেণির শূন্য আসনের বিপরীতে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্বাচিত তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে কিনা, প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শূন্য আসনের বিপরীতে বেশি বা কম শিক্ষার্থীর চাহিদা অনলাইনে দিয়েছেন কিনা তার তথ্যও সংগ্রহ করবে কমিটি। এ ছাড়াও ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে ভর্তিকৃত, সেশন ফি প্রদান করা ও ফরম পূরণকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করবে। এই তালিকা প্রতিষ্ঠান প্রধান সরবরাহ করবেন। তালিকায় বর্ণিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভর্তি ফি, সেশন ফি ও ফরম পূরণে কি পরিমাণ ফি দিয়েছেন তার প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে।
২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে ভর্তি ফি, সেশন ফি ও ফরম পূরণে বিভিন্ন নামে ও খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়কারী এবং ভর্তিতে অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ। এক্ষেত্রে সরকারি পরিপত্র অনুসরণ করেছেন কিনা তা নিশ্চিতকরণ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফির বাইরে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে ভর্তি ফি, সেশন ফি ও ফরম পূরণে বিভিন্ন নামে ও খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় হয়ে থাকলে তা চিহ্নিতকরণ এবং সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ। বিদ্যালয়ে এনসিটিবির সরবরাহ করা বই বিতরণে টাকা আদায় করা হয়েছে কিনা এবং এনসিটিবির অনুমোদনবিহীন বই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তদন্ত করা। কমিটিকে অনধিক ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।