স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। তিনি বলেছেন, কিছুদিনের মধ্যে সরকার শিক্ষা কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে। এখানে আমার দাবি হলো, এই কমিশন যেনো শুধু সংস্কার করার জন্য না হয়, এটি যেনো একটি স্থায়ী কমিশন হয়। মিনিস্ট্রি এবং এই শিক্ষা কমিশন একটি প্যারালাল ইনস্টিটিউশন হবে।
শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের বিশেষ ফেসবুক লাইভে এ কথা বলেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, মিনিস্ট্রির এক্সিকিউটিভ ক্ষমতা থাকবে, রাজনৈতিকভাবে মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হবে। এবং তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবে। যেটা গতানুগতিকভাবে আমরা দেখেছি। আর শিক্ষা কমিশন যদি সাংবিধানিকভাবে দেয়া হয় এবং পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ননস্টপ কাজ করবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তারা অ্যাডভাইস করতে থাকবে। ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করবে।
নিউজিল্যান্ডের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় রয়েছে এবং আরেকটা উইং রয়েছে তারা ওয়াচ ডগস (প্রহরী) হিসেবে কাজ করছে। এবং তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সাজেশন দিতে থাকে, একই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের রিপোর্টগুলো সাবমিট করতে পারে। মূলত আমি চাচ্ছি এই রাজনৈতিকভাবে যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেয় সেগুলো যেনো না হয়। অর্থাৎ সরকার পরিবর্তন হবে। কিন্তু যুগের সঙ্গে মিলিয়ে শিক্ষার ধারাবাহিকতা যেনো ননস্টপ থাকে সে ধরনের একটা কমিশন গঠন করতে হবে।
এই কমিশনের গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি ইনডিভিজুয়ালি ইনস্টিটিউশন হতে পারে। উন্নত বিশ্বে লেখাপড়ার যে ধরন পাল্টে যাচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এটি কাজ করবে। কারিকুলাম, পরীক্ষা পদ্ধতি, কারিগরি শিক্ষা প্রয়োজন এসব বিষয় মিলিয়ে চলমান একটা শিক্ষা ব্যবস্থা থাকতে হবে। কারণ মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী এসে, নতুন প্ল্যান দেবেন। কিন্তু শিক্ষা তো নতুন প্ল্যান দেয়ার বিষয় নয়। এটি ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। সেজন্য একটি কমিশনন থাকতে হবে। এটি কেউ মিসইউজ করতে পারবে না।