শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান- ২০২৪ এর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন করেছেন। তিনি সোমবার ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ‘ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থানের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যালেন্ডার উদ্বোধন করেন।
প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে অসাধারণ মেধাসম্পন্ন তরুণ সমাজ রয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিভিন্ন সময়ে তাদের দুঃখ, কষ্ট ও নিরাশার কথা শুনেছি। আমি আশাবাদী বাংলাদেশের শিক্ষকদের এসব কষ্ট নিরসন হবে। এগুলো দূর করার জন্য কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি ডিগ্রি করার জন্য ইনসেনটিভ বা আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা নাই। এসব বিষয়ে সমাধান করার জন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করার পরে গবেষণালব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের উপযোগী করার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষকদের দক্ষ করার জন্য বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষকরা দেশের জন্য আত্মনির্ভরশীল দক্ষ মানবসনম্পদ তৈরি করতে পারেন।
দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলিতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনা শেষ করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে এবং নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করে দেশে-বিদেশে কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, মেজর জেনারেল অব. প্রফেসর ড. মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. মো. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের, বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এ.এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, ভাইস চ্যান্সেলর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক নুরে আলম তালুকদার।