ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবর্ষ থেকে শতভাগ আবাসনের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রতীকী অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল নারী শিক্ষার্থী।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টায় অনশনে বসেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, বিকাল ৫টা পর্যন্ত তারা অনশন করবেন।
রোববার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল’ নির্মাণে উদ্যোগের বিষয়ে জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনে অংশ নেয়া ইসরাত জাহান ইমু বলেন, ‘আপনারা একটি হলের বিষয়ে জানলেও আমরা দুটি হল নির্মাণের বিষয়ে জানি। কিন্তু কার্যপ্রণালি সম্পন্ন করে এগুলো নির্মাণ করতে চার-পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে। তাহলে এখন যারা সিট পাইনি তারা কোথায় থাকবে!’
যেকোনো হল নির্মাণ একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেটি উপেক্ষা করে তাৎক্ষণিক হল নির্মাণ করতে পারেন না। এই অবস্থায় আন্দোলনকারীদের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা অবশ্যই ঠিক। কিন্তু যারা সিট পাইনি তারা এতদিন কোথায় থাকবে? আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলের সিট না পাওয়াদের বৃত্তি দেবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনো একটি ভবন ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী করা সম্ভব না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবনে আমাদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে বিষয়ে কথা বললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাজেট সংকটের কথা বলে। আমাদের দাবি, বৃত্তির টাকা দিয়ে কোথাও অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হোক। আর দ্রুতই হলের নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।’