বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল। সদস্যসচিব ড. মো. মাসুদ খান রানা ও কোষাধ্যক্ষ মো. নওসের আলী এবং নয় অঞ্চলের নয়জন যুগ্ম আহব্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা কলেজ অডিটরিয়মে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন-এর এক বিশেষ জরুরি সাধারণ সভায় শত শত ক্যাডার সদস্যের কন্ঠভোটে এই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়। তারা এক বছর দায়িত্ব পালন করবেন। মোট ৫১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি এক বছর দায়িত্ব পালন করবে।
আহ্বায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ড. সোহেল বলেন, ক্যাডারের স্বার্থে সামনে যে কর্মসূচি আসবে সেই সময়ে আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন সেটাই জরুরি। হয়তোবা আমাদের পদ-পদবির পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে কিন্তু তাতে আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াই থামবে না। যেখানে যে পদেই থাকি না কেনো ক্যাডারের স্বার্থে লড়াই চলবে।
ড. সোহেল আরো বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিলো এক ফরমেটে। চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান এটা আরেক ফরমেটে। একাত্তরে অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা আর চব্বিশে অস্ত্রের বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা। আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের গুলিতে একজনের প্রাণ গেছে চারজন এগিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের ক্যাডারের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে কেউ যেনো নিগ্রহের শিকার না হন। চাকরির বিধান মেনে ফেসবুকে লেখালেখি ও প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৬ হাজার সদস্যের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সংগঠন। তারা মূলত সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা, শিক্ষার অধিদপ্তর, দপ্তর, শিক্ষাবোর্ড ও পাঠ্যপুস্তকবোর্ডসহ শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে কর্মরত।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত না রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে নানারকম প্রতিবাদ করে আসছেন শিক্ষা ক্যাডার সদস্যরা। প্রতিবাদ করতে গিয়ে শাস্তির মুখেও পড়েছেন কয়েকজন।