জাল সনদে বহুদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন এমন আরো ৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনুসন্ধানের সব পদ্ধতি অনুসরণ করে নিশ্চিত হয়েছে শিক্ষাবিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা। শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ ব্যবহার করে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকার মাদরাসায় বিভিন্ন পদে নিয়োগ পেয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। তারা সবাই এমপিওভুক্ত মাদরাসায় কর্মরত।
চার জালিয়াতের মধ্যে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে সুপারিশ পাওয়া দাবি করে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন সুইটি। তার রোল নম্বর দেখিয়েছেন: ৪০৪০০৯৮৫৮। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, সুইটির এই সনদটি জাল।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পাস দেখিয়েছেন রাহিলা খাতুন, রোল: ৪২৯০০৪৮৪৯। জাল সনদ দিয়ে আরবির প্রভাষক পদে চাকরি করে যাচ্ছেন রাহিলা খাতুন। এ ছাড়াও তানি আক্তার সহকারী মৌলভী পদে চাকরি করছেন। তিনি ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস দেখিয়েছেন।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস দেখিয়েছেন মো. ওলিউল্লাহ। তিনিও জাল সনদে দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছেন আরবিবীর প্রভাষক পদে।
বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে বলে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।