সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা দেয়ার জন্য আজ শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা না করা হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় অবরোধ করা হবে। তারা এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন, ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’। কর্মসূচির আওতাভুক্ত থাকবে রেল ও সড়ক পথ। চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তবে ইজতেমা চলায় মুসুল্লিদের ভোগান্তি বিবেচনায় ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কর্মসূচি শিথিল থাকবে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১টায় তিতুমীর কলেজের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, অনশনে থাকা দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনও গণঅনশন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গুলশান-১ মোড়ে যান তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা সেখানে অবরোধ করেন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক তখন বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে প্রায় আধাঘণ্টা বিক্ষোভের পর শুলশান-১ মোড় ছেড়ে দেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা একটি মিছিল নিয়ে তিতুমীর কলেজের সামনে চলে আসেন।
শিক্ষার্থীদের ৭ দাবি
‘তিতুমীর ঐক্য’ ব্যানারে সাত দফা দাবিতে এ আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবিগুলো হলো—তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা। শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন ও ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় আইন ও সাংবাদিকতা বিভাগ সংযোজন।
এ ছাড়াও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিতকরণ ও আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।
বহুবছর আগে থেকে চলা এই আন্দোলন নতুন করে প্রাণ পায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা নতুন করে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করেন। দাবি আদায়ে নামেন আন্দোলনে।