শিক্ষকদের সহজে পারিশ্রমিক পাওয়ার উপায় হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মাধ্যমে বিল পরিশোধ শুরু করে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। শিক্ষকরা হাতে পাওয়ার আগেই পাসওয়ার্ড জালিয়াতি করে প্রতারক চক্র সেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষক প্রতারণার শিকার হয়ে বোর্ডে গিয়ে প্রতিকার আশা করেন। কিন্তু বোর্ডের হাতে সেই প্রতিকারের পথ না থাকায় বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
তাই প্রতারণা রোধে মোবাইল ব্যাংকিং পরিহার করে অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পারিশ্রমিক পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সকল শিক্ষককে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য আপডেটসহ সঠিক অনলাইন ব্যাংক একাউন্ড যুক্ত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে একাদশে ভর্তি, অনলাইন ফরম ফিলাপ, শিক্ষার্থীদের সনদ সংশোধনীসহ সব ক্ষেত্রেই যুগান্তকারী পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে দৈনিক আমাদের বার্তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের নবাগত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ.ন.ম মোফাখখারুল ইসলাম। তার সঙ্গে কথোপকথনের উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে তুলে ধরা হলো-
দৈনিক আমাদের বার্তা: একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির পর ম্যানুয়ালি ভর্তি হয়। এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
আ.ন.ম মোফাখখারুল ইসলামঃ আমি নতুন যোগদান করেছি। একাদশ শ্রেণিতে এখনো অন্তত ১০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি মর্মে আমাকে জানানো হয়েছে। আমি বাদপড়া শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তির জন্য একটা সময় দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছি। এরপরও যারা বাদ থাকবে তাদের ইয়ার লস হবে। তবু কোন ভাবেই ম্যানুয়ালী ভর্তি করানো হবে না।
শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবদলী বিষয়ে এখনো ম্যানুয়ালি প্রথা চালু আছে। এ বিষয়ে আপনারা কি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন?