জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্নাতক সম্মান ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি কমিটির জরুরি মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত বারোটার দিকে পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
এ সময় উপাচার্য বলেন, ’জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েকদিন থেকে পোষ্য কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। সেই প্রেক্ষিতে আমরা দফায় দফায় অংশীজনদের সঙ্গে মিটিং করেছি। সর্বশেষ আজকে ভর্তি কমিটির জরুরি মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের পোষ্য কোটা থাকবে না।’
ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ভাসানী চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন হল ঘুরে লাইব্রেরি হয়ে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেন। রেজিস্ট্রার ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
‘দাবি মোদের একটাই, পোষ্য কোটার বাতিল চাই; হলে হলে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে; সংস্কার না বাতিল, বাতিল বাতিল; শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না; আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিম মাহমুদ বলেন, আমরা চাই অযৌক্তিক পোষ্য কোটা সম্পূর্ণভাবে বাতিল হোক। একটি যৌক্তিক দাবী নিয়ে এখানে এসেছি। সংস্কারের নামে ফাঁকি দেয়া হয়েছে। আমরা কোনো সংস্কার চাই না। পোষ্য কোটা একেবারে বাতিল করতে হবে।
বোটানির ছাত্র ফারুক বলেন, নতুন বাংলাদেশে আর কোনো কোটা চাই না। কোটা সংস্কার নয় বাতিল করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৃষ্টি বলেন, যে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাদের হুমকি দিতে পারে তাদের আমরা জাহাঙ্গীরনগরে চাই না। যদি প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিল ও যথাসময়ে জাকসু বাস্তবায়ন করতে না পারে, তাহলে আরো একটা আন্দোলনের সূচনা হবে জাহাঙ্গীরনগর থেকে।