
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির বকেয়া বেতন দ্রুত ছাড় দেওয়ার দাবিতে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। অন্যথায় শিক্ষা ভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বুধবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের ব্যানারে এক মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, তিন মাস ধরে বেতন না পেয়ে মাউশি অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাই দ্রুত বেতন ছাড় দিতে হবে, একই সঙ্গে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থার ৯৮ শতাংশ এমপিওভুক্ত ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকার প্রতিমাসে বেতনভাতাদি দিয়ে আসছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত ডিসেম্বর মাস থেকে ইএফটির মাধ্যমে বেতনভাতাদি প্রদান করে। জানুযারি মাসে চার ধাপে ডিসেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করলেও অনেক শিক্ষক-কর্মচারী ডিসেম্বর মাসের বেতন পায়নি।
তাছাড়া জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনও কোন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী পায়নি। দীর্ঘ তিনমাস বেতন না পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পবিত্র রমজান মাসে অর্থাভাবে ইফতারি ও সাহরি খেতে পারছেন না, ঔষধ খেতে পারছেন না।
আরও বলেন, দীর্ঘ তিন মাস ধরে বাসাভাড়া দিতে না পারায় বাড়ির মালিকগণ বাসা ছেড়ে দিতে তাগাদা দিচ্ছেন। আসন্ন ইদুল ফিতর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বোপরি এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা দুর্বিষহ অবস্থা।
বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতন ছাড়করণের দাবি জানান নতুবা শিক্ষক-কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে রাজপথে অবস্থান করবে।
শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ মাত্র ১০০০/- বাড়িভাড়া, ২৫% উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। আসন্ন ঈদুল ফিতর থেকেই শতভাগ উৎসব ভাতা ও স্কেল অনুসারে বাড়িভাড়ার দাবি জানানো হয়।
বাবেশিকফো যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাসেত আলী, আব্দুল হাই সিদ্দিকী, আব্দুল হালিম, তোফায়েল সরকার, রবিউল ইসলাম, এস এম ফরিদ উদ্দিন, আমাতুন নাহার, আফরোজা শ্রাবণ, আবুল বাসার, বশির উদ্দিন, আক্তার হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মাহিন, আবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মোকলেসুর রহমান লিটন, আহসান হাবীব প্রমুখ।