ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ , ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

পলিটেকনিক ইনস্ট্রাক্টর হুমায়ুনের শতকোটি টাকার সম্পদ

শিক্ষা

প্রকাশিত: ১০:২৭, ১০ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১১:১৪, ১০ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ

পলিটেকনিক ইনস্ট্রাক্টর হুমায়ুনের শতকোটি টাকার সম্পদ

জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর হুমায়ুন কবীর, তার স্ত্রী ও বাবার নামে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। হুমায়ুন কবীরের বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি, আর স্ত্রী গৃহিণী।

জানা যায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে ৫১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ জমির মালিক হয়েছেন পলিটেকনিক ইনস্ট্রাক্টর হুমায়ুন। এসবের বাজার মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া তার আছে অস্থাবর অনেক সম্পদ।

রোববার (৯ মার্চ) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য জানায়।

এজাহারে সূত্রে জানা যায়, আসামি পেশায় একজন শিক্ষক। তার বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন আর স্ত্রী গৃহিণী। পেশাগত অবস্থান খুব একটা বড় পদে না হলেও ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে ৫১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ জমির মালিক হয়েছেন তিনি। যার বর্তমান বাজার মূল্য শতকোটি টাকার বেশি। এছাড়া তার অস্থাবর অনেক সম্পদ।

দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রথম মামলায় ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) মো. হুমায়ুন কবীর, তার স্ত্রী বেবি আলিয়া হাসনাত ও বাবা কাঠমিস্ত্রি মো. আলী হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরসহ দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৩ কোটি ৬ লাখ ১২ হাজার ১৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে এবং ১৫ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৮২৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ অভিযোগে দুদক আইন, ২০০৪ এর ধারা ২৬(২) ও ধারা ২৭(১) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ৪(২), ও ধারা ৪(৩) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় বেবি আলিয়া হাসনাত, তার স্বামী মো. হুমায়ুন কবীর ও তার শ্বশুর আলী হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ৩৪৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

হুমায়ুন কবীরের যত সম্পদ

মো. হুমায়ুন কবীর ও তার স্ত্রীর বেবি আলিয়া হাসনাতের নামে মোট ৫১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ জমির দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য ১৪০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও মৌজা মূল্য অনেক কম।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মো. হুমায়ুন কবীরের নামে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে মোট ৪৪৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ জমি আছে। যার মধ্যে গাজীপুরের টঙ্গি পৌরসভায় ৩ দশমিক ০৪ শতাংশ জমি বাদে সবই ময়মনসিংহ সদরের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার জমি।

জনপ্রিয়