
কবিরহাটে মসজিদের শৌচাগারে ছেলেশিশু ধর্ষিত
নোয়াখালীর কবিরহাটে মসজিদের শৌচাগারে এক ছেলেশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে। অভিযুক্তের নাম মো. নুরুজ্জামান (৫৭)। তিনি উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রি বাড়ির বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক ছেলেশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জানতে পারলেও ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে। এরপর বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে পরিবারের সদস্যরা এ দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পারেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিশু স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। ছাত্রটি তার বাসার পাশের মসজিদে প্রায়ই নামাজ পড়তে যায়।রোজকার মতো মঙ্গলবার (৬ মার্চ) বিকেলে ছাত্রটি আসরের নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা সবাই চলে যায়। ওই সময় নুরজ্জামান প্রস্রাব করার কথা বলে শিশুটিকে কৌশলে মসজিদের শৌচাগারে ডেকে নিয়ে যান। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শিশুটি তার প্রতিবেশী এক মামাকে জানায় যে, নুরজ্জামান তাকে খুব ব্যথা দিয়েছেন। তিনি যেন তার সঙ্গে এ রকম আর না করেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। শুক্রবার (৮ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় মাতবরা অভিযুক্ত নুরজ্জামানকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দেয়।
এ বিষয়ে কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মঞ্জুর আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ তাকে আটক করে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করায় তাকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।