
নেত্রকোনায় শুক্রবার শিক্ষক-কর্মচারীদের ভিড়
নেত্রকোনায় ব্যাংক থেকে বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও বোনাস তোলার প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ব্যাংকে শিক্ষক ও কর্মচারী ছাড়া অন্য গ্রাহক না-থাকায় সবাই নির্বিঘ্নে তাদের বেতন-ভাতা তুলতে পেরেছেন বলে জানা গেছে।
উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মচারীরা জানিয়েছেন, সারাদেশে বেসরকারি স্কুল-কলেজে ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি তুলতে ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন অনেক স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি বকেয়া পড়েছিল।
এ জন্য আসন্ন ঈদের কেনাকাটা করতে বেতন-ভাতাদি ব্যাংকে ট্রান্সফার হতে দেরি হওয়ায় শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কয়েকটি ব্যাংককে শুধুমাত্র বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি তোলার কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী অর্দ্ধচন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পিন্টু তালুকদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি তুলতে শুক্রবার ব্যাংক খোলা রাখাতে সুবিধা হয়েছে। তা না হলে অনেকেই ঈদের বন্ধে বেতন-ভাতাদি তুলতে পারতেন না। এতে করে ঈদের কেনাকাটা করা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবে এজন্য প্রচুর ভিড় ঠেলে টাকা তুলতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা ছুটির দিনেও শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি উত্তোলনের কাজ করেছি। এতে আমরা আনন্দিতও এই ভেবে যে, শিক্ষক-কর্মচারীরা টাকা তুলতে পারায় আসন্ন ঈদের কেনাকাটা করতে পারবেন। আমরা একটু কষ্ট হলেও তারা যে ঈদের উৎসব উদযাপন করতে পারবেন, এটা একদম কম খুশির খবর নয়!