ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ , ৩ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

বর্ণিল আয়োজনে দিনাজপুর হাবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত

শিক্ষা

আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ৮ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ

বর্ণিল আয়োজনে দিনাজপুর হাবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত

দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা এবং প্রোভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবিরসহ সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  পরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের ফেস্টুন ও  বেলুন উড্ডয়ন এবং আকাশে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করা হয়। এরপর শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও এর সামনের মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে দিনটি উপলক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলরের বাণী পাঠ ও বিতরণ করা হয়। 

পরে টিএসসি’র সামনে ‘মজার ইস্কুল’-এর শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন এবং কেক কাটা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রোভাইস-চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে দিনাজপুর গোর-এ-শহিদ বড় ময়দানের পাশে অবস্থিত হাজী মোহাম্মদ দানেশের কবর জিয়ারত ও তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। 

সেখান থেকে তিনি ফরিদপুর কবরস্থানে প্রয়াত মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হক, এমপির কবর জিয়ারত ও তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে “মেধাভিত্তিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে হাবিপ্রবির ভূমিকা ও ক্রমবিকাশ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা। 

প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন হাবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসাইন মিঞাঁ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রোভাইস-চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও প্রক্টর। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আবু হাসান এবং সাদা দলের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান বাহাদুর। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. আবুল কালাম। প্রধান আলোচক প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসাইন মিঞাঁ তাঁর বক্তব্যে হাবিপ্রবির যাত্রা শুরুর সময়ের ঘটনাবলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও স্মৃতিচারণ করেন। 

আলোচনা সভায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি বর্তমান প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং প্রয়াত মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের উচ্চ শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আন্তরিক ও দায়িত্ববান হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, এতদিন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও এর প্রতিষ্ঠার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাস হয়নি, প্রজ্ঞাপন হয়নি, অথচ একটি তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হতো।  আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যেদিন থেকে প্রজ্ঞাপণ জারি হবে, সেদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। সে অনুযায়ী, আমরা এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছি, যা দেশকে যে অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার তুলনায় এটা কিছুই না। 

উল্লেখ্য, ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রজ্ঞাপন জারি এবং ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ এপ্রিল প্রয়াত মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হক, এমপি  বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

জনপ্রিয়