
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবি ছাত্র সানি সরকারের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ৭ এপ্রিল কালো পতাকা উত্তোলন নিয়ে সানির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ‘সানির ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হিজবুত তাহরীর নো মোর’, ‘হিজবুত তাহরীরের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে শোনা যায়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সানজিদুল ইসলাম শিহাব বলেন, সোমবার (৭ এপ্রিল) সানির ওপর হিজবুত তাহরীরের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে আহত করেছে। সানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ পর্যন্ত সব আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে আসছেন। তার ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলায় যারা জড়িত ছিলো, তাদের ভিডিও, ছবি এবং প্রমাণসহ স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা দাবি জানিয়েছি, যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রত আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।
একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী নাবিলা তালুকদার বলেন, সোমবার (৭ এপ্রিল) সানি নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীতের কালো পতাকা নামাতে বললে মব সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও মবের কথাই বলছে। সে যদি মারা যেতো, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কী জবাব দিতো! আমরা সানির ওপর এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসসহ সারাদেশে প্রতিরোধ করার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ৭ এপ্রিল (সোমবার) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরীরের ব্যানার নামাতে বলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সানি সরকারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সানি সরকার ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন ঢাবি শিক্ষার্থী আহত হন।