
কোভিড মহামারির পর নতুন কারিকুলামের বিশৃঙ্খলা দেশের শিক্ষা-দীক্ষাকে তলানিতে নিয়ে গেছে। পড়াশুনা, শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণ সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বহু আগেই উধাও। এখন শুধু ক্লাস নিতে হয় তাই নেয়া, পরীক্ষা নিতে হয় তাই নেয়া। পড়াশুনা হয়েছে কিনা বা হচেছ কিনা, পড়াশুনার খবর কি- শ্রেণিকক্ষে সেই হিসেব রাখার ব্যবস্থা নেই। পত্রিকায় কিছু আলোচনা সমালোচনা হলে এনসিটিবি, মাউশি অধিদপ্তর থেকে একটি চিটি স্কুলে পাঠানো হয় পরীক্ষা আর সিলেবাস নিয়ে। কিন্তু গ্যাপ দিনে দিনে বেড়েই চলছে।
চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর দিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে একটি কক্ষের অনেক শিক্ষার্থী প্রকাশ্যে বই খুলে পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষকদের কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। গত মঙ্গলবার পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনেও একই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষাবিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা এবং শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম’ গতকাল মঙ্গলবার লীড নিউজের হেডলাইন করেছে ‘প্রশ্নফাঁস ও নকলের মচছব’।
আমরা সবাই চাচিছ ভাল শিক্ষক, ভাল ডাক্তার, ভাল প্রশাসক, ভাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও কৃষিবিদ। কিন্তু কোথা থেকে আসবেন তারা? নকলের মচ্ছবে জিপিএ৫ পাওয়া পরিক্ষার্থীরা নিশ্চয়ই এই প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবেন না।
লেখক : ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক