
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক ছাত্রের অভিযোগকে চক্রান্ত ও মিথ্যাচার দাবি করে এর প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা । এসময় তারা ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিভাগের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
৪ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রমে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে না। দাবিগুলো বাস্তবায়নে বর্তমান বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হলে, কর্তৃপক্ষকে অপারগতা স্বীকার করতে হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
দাবিগুলো হলো-
(১) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি ব্যতীত থিসিস মূল্যায়নে তৃতীয় পরীক্ষক নির্বাচনে ড. আফসানা হকের সংশ্লিষ্টতা নেই, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাঁকে মানহানি করা হয়েছে এ ব্যাপারে বিভাগ থেকে সকল শিক্ষকের স্বাক্ষর যুক্ত করে সুস্পষ্ট বিবৃতি প্রদান করতে হবে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে
(২) সাজিদ ইকবাল (৪৯) এর আনীত অভিযোগ অনুযায়ী তার থিসিসের উন্মুক্ত মূল্যায়ন (শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে) তিন পরীক্ষক দ্বারা ১৭ এপ্রিল বিকেল ৫টার মধ্যে করতে হবে ও প্রত্যেক শিক্ষকের মূল্যায়ন ব্যাখ্যা উন্মুক্তভাবে প্রদান করতে হবে।
(৩) বিভাগের অতি গোপনীয় তথ্য সাজিদ ইকবাল (৪৯) কে বা কারা দিয়েছে এর দায়ভার বিভাগকে নিয়ে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত বিভাগ থেকেই করতে হবে ১৭ এপ্রিল বিকেল ৫ টার মধ্যে। তথ্য প্রদানকারীর নাম সকলের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে ও একই সাথে ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না তা নিশ্চিত করতে লিখিত পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে হবে।
(৪) সাজিদ ইকবালের আনিত আভিযোগ যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে বিভাগ সাজিদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেবে তা লিখিতভাবে সকলের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে।
গত ১৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজিদ ইকবাল তার ৮ম সেমিস্টারের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দরুন তার থিসিস ও চূড়ান্ত ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে বলে উপাচার্য বরাবর অভিযোগ করেন।