
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ব্লকেড কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সেনাবাহিনী ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এ সময় কয়েজন আন্দোলনকারীকে টানা-হেঁচড়া করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পিএসসি কার্যালয়ের সামনে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ না হতেই ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এ দাবিকে সামনে রেখে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল বুধবার তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার ‘পিএসসি ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা আগারগাঁও পিএসসি ভবন থেকে শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পর্যন্ত গেলে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরদিন বুধবার তারা প্রধান উপদেষ্টার যমুনা বাসভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।
তবে এরও আগে, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আগারগাঁওয়ে পিএসসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিকেলে পিএসসির একটি প্রতিনিধি দল তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও কোনো সমাধান আসেনি। আন্দোলনকারীদের দাবি, পিএসসি তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।
এ বিষয়ে পিএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রশ্নপত্র মুদ্রণ ও নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের প্রধান দাবি—৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল থেকে একদল চাকরিপ্রার্থী ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পিএসসি ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছালেও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় কোনো ছাড় দেয়নি। পরীক্ষার্থীদের যদি ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সময়ের সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার তারিখ মিলে যায়, তবে সেই মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কমিশন। তবে এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।