
ভবনের ছাদে বড় বড় ফাটল ধরেছে। ছাদের পলেস্তারা পড়ে গিয়ে রড বেরিয়ে গেছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই দীর্ঘদিন ধরে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার তারাকান্দিয়া বাজুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। তাই দ্রুত ভবন নির্মাণের দাবি।
অভিভাবক বিপ্লব রায় জানান, ঝুঁকি নিয়ে ভবনটিতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী পাঠদান করছেন। এটি কোনমতে কাম্য নয়। অতি দ্রুত এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি নির্মাণ করা প্রয়োজন। এতে করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবাই ঝুঁকিমুক্ত হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কান্দিউড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিপন মল্লিক জানান, এরকম একটি ভাঙা ভবনে পাঠদান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি।
এলাকাবাসী জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কে দিন কাটান তারা। কখন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। অতি দ্রুত ভবনটি নির্মাণের দাবি করেন তারা।তা না হলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করার কথাও ভাবছেন বলে জানান তারা।
বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুনাহার জানান, আমার স্কুলে ১১৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই ভবনটিতে শিক্ষকরা পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কারো কাম্য নয়। ভবন ভেঙে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তখন এর দায় কে নেবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আছি বিপাকে। সামনে আসছে বর্ষা মৌসুম। এই সময় ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। তখন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাবে। ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেও কোন সদুত্তর মেলেনি।
জানতে চাইলে কেন্দুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম জানান, বাজুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেছি। কেন্দুয়া উপজেলার এ রকম আরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কার ও নির্মাণের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি অচিরেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমদাদুল হক তালুকদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারাকান্দিয়া বাজুপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান চলছে জেনেছি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে তদন্ত করে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।