
বরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় পানের বাজার বসানো হয়েছে। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখানে কেনাবেচা শেষে ব্যবসায়ীদের ফেলা যাওয়া ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এই বাজার দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এখানে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে তিনতলা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এই আশ্রয়কেন্দ্র কাম বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় এখন প্রতি শুক্রবার পানের ব্যবসা চলে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলেও তা সরিয়ে নিচ্ছেন না ইজারাদার শাহ আলম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় শতাধিক ব্যবসায়ী পান বিক্রি করছেন। এতে বিদ্যালয় এলাকা ময়লা-আবর্জনা ও ধুলাবালুতে একাকার হয়ে রয়েছে।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, ইজারাদার প্রতি শুক্রবার বাজার বসান। ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা বিদ্যালয়েই ফেলে রেখে যান। এগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে করে শিক্ষার্থীদের চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। তাদের নানা রোগ হচ্ছে। তারা ইজারাদার ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন স্বপন বলেন, বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের নিচতলায় পানের বাজার বসিয়েছেন। তাকে বাজার বসাতে নিষেধ করেছিলাম; কিন্তু তিনি শোনেননি। পান ব্যবসায়ীদের রেখে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারাই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
এ নিয়ে কথা হলে পান ব্যবসায়ী সোবাহান মিয়া বলেন, আমরা ইচ্ছা করে বিদ্যালয়ের নিচতলায় পান বিক্রি করতে বসিনি। ইজারাদার আমাদের বসিয়েছেন। বিদ্যালয় ভবনের মধ্যে বাজার বসানো মোটেই ঠিক হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা এইচ এম দেলোয়ার মুন্সি বলেন, ইজারাদারের এমন কাজের প্রতিবাদ করেছি; কিন্তু ইজারাদার তা মানছেন না। তিনি প্রভাব খাটিয়ে বাজার বসিয়েছেন। বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর রাখতে ইজারাদারকে অবশ্যই পানের বাজার বসানো থেকে বিরত রাখতে হবে।
জানতে চাইলে ইজারাদার শাহ আলম বলেন, বাজারে সরকারি জায়গা না থাকায় এখানে বাজার বসানো হয়েছে। বিগত দিনে এ বিদ্যালয়ের নিচতলায় পানের বাজার বসত, তাই আমিও বসিয়েছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় কোনোমতেই বাজার বসানো যাবে না। যারা বাজার বসিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।