
পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষায় জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘রিনিউয়েবল এনার্জি ফেস্ট ২০২৫ ’।ফেস্টের মূল লক্ষ্য ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানি রূপান্তরের জন্য নীতি সংস্কার, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ফেস্টে অংশ নিয়েছে ২৬টি স্টল। এ ছাড়া উৎসবে অংশ নিয়েছে ৫০টির বেশি সিভিল সোসাইটি সংগঠন, উন্নয়ন সহযোগী, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমের কর্মীরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ফেস্ট। সংবাদ সম্মেলন শেষে মেলা পরিদর্শন করেন অতিথিরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও পাওয়ার টক অনুষ্ঠিত হয়। ফেস্টের আয়োজক যৌথভাবে বুয়েটের জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ও জেট নেট বিডি।
আলোচনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ কেন্দ্র রয়েছে—‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ইন সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’। এখানে আমরা নিয়মিতভাবে গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান করি এবং উপযুক্ত প্রকল্পে অর্থায়ন করি। এটি এখন তৃতীয় বছরে চলছে। দুই-আড়াই বছর ধরে আমরা তরুণ উদ্ভাবকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অভিজ্ঞ গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা নতুনদের মেন্টরিং, প্রজেক্ট প্ল্যানিং এবং বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তরুণ উদ্ভাবকদের আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগির মোরশেদ বলেন, এসব প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ অত্যাবশ্যক। কিন্তু বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ১২-১৪ শতাংশ সুদে এবং খুব সীমিত মেয়াদে (প্রায় ৫ বছর) ঋণ দিতে চায়, যা এসব প্রকল্পের জন্য বাস্তবসম্মত নয়।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মাশরুর আরেফিন বলেন, এই খাতে প্রাইভেট ইনভেস্টরদের আনতে হলে তাদের জন্য একটি স্থিতিশীল ও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। না হলে ব্যাংকও তাদের ফান্ড রিলিজ করতে সংকোচ করবে।