ঢাকা মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৬ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর আত্মহত্যার পেছনে বয়ফ্রেন্ড রুফি

বিনোদন

আদালত প্রতিবেদক    

প্রকাশিত: ১৭:০০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর আত্মহত্যার পেছনে বয়ফ্রেন্ড রুফি

ছোটপর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা নুসরাত হিমুর (৩৮) আত্মহত্যার পেছনে ছিলেন কথিত বয়ফ্রেন্ড মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬)। তাকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।  

গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হলেও গতকাল বুধবার এ তথ্য জানা যায়। উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন  চার্জশিট দাখিল করেছেন।

২০২৩ খ্রিষ্টাব্দেরর ২ নভেম্বর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নুসরাত হিমু। ওইদিন রাতেই হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রুফিকে আসামি করা হয়। পরদিন তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর ৪ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 
পরবর্তীতে ওই বছরের গত ২২ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে একা থাকতেন অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু। তার বিয়ে হলেও পরে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। একই ফ্ল্যাটে থাকতেন মেকআপম্যান ও আর্টিস্ট কবির আহম্মেদ মিহির। 
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে হিমুর খালাতো বোনের সঙ্গে রুফির বিয়ে হয় এবং কিছুদিনের মধ্যে পারিবারিক সমস্যার কারণে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পারিবারিক আত্মীয়তার সম্পর্কের জেরে রুফির সঙ্গে হিমুর পরিচয়। হিমুর খালাতো বোনের সঙ্গে আসামি জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও হিমু ও রুফির মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। 

ঘটনার ছয় মাস আগে থেকে হিমুর বাসায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। মাঝে মধ্যে হিমুর বাসায় রাতযাপনও করতেন। 
ঘটনার আগের দিন ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ নভেম্বর নিহত হিমু মনোমালিন্যের জের ধরে আসামি রুফির মোবাইল ফোন নম্বর ও বিগো আইডি ব্লক করে দেন। এ নিয়েও তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। রুফি পরদিন ২ নভেম্বর হিমুর বাসা আসে। মিহির বাসার মেইন দরজা খুলে দিলে রুফি হিমুর বাসায় ঢুকে। বাসা প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই মিহিরের রুমে এসে রুফি চিৎকার করে বলেন, ‘হিমু আত্মহত্যা করেছে’।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মোবাইল ফোন নম্বর ও বিগো আইডি ব্লক করে দেয়া নিয়ে হিমুর সঙ্গে  রুফি বাসায় আসার পর ঝগড়া হয়। রুফি ভিকটিম হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়। এরপর রাগে ও অভিমানে হিমু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছেন, হিমু আত্মহত্যার পর মিহির ও আসামি রুফি হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় মরদেহ হাসপাতালে রেখে হিমুর দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান রুফি।

জনপ্রিয়