ঢাকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৬ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

কাকে তোপ দাগলেন ফারুকী!

বিনোদন

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:০০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

কাকে তোপ দাগলেন ফারুকী!

পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছাত্র আন্দোলনের প্রথম থেকে তাদের সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ছিলেন। বিভিন্ন সময় পোস্ট দিয়ে তাদের উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। এবার এক পোস্ট দিয়ে জানালেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে কখন কাকে ঠেকাতে হবে। সেটা হোক আওয়ামী লীগ বা হোক সেটা বিএনপি কিংবা অন্য দল।

পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে আমরা কিভাবে মনস্টার হয়ে উঠতে সাহায্য করলাম? কারা তাকে মনস্টার বানালো? বাংলাদেশের সো কলড নাগরিক সমাজ। “বিএনপি ঠেকাও” (যদিও তারা মুখে বলতো বিএনপি-জামাত, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা জানতো ভোটে জেতার সক্ষমতা বিএনপির বেশি, তাই বিটুইন দ্য লাইন ছিল বিএনপিই) মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ নাগরিক সমাজ হাসিনাকে যা ইচ্ছা তা করার লাইসেন্স দিয়েছে।’

দেশের রাজনীতি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই আত্মসমালোচনাটা বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ যদি না করে তাহলে ভবিষ্যতেও আমরা এইরকম মনস্টার জন্ম দিতেই থাকবো। আমরা মুখে গণতন্ত্র বলি, কিন্তু আমাদের বগল মে “ঠেকাঠেকি”! দেখেন যে কেউ যে কাউকে ঠেকাতে চাইতেই পারে। এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। এর জন্য সে প্রচার চালাতে পারে, জনমত গঠন করতে পারে। কিন্তু গোলমাল দেখা দেয় যখন এই ঠেকাঠেকিটা করা হয় ভোট ডাকাতি বা ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে।’

এরপর লিখেছেন, ‘আমাদের আদি পাপ এখানে। এই ঠেকাঠেকি অধিদপ্তর থেকেই গুম-খুন-ব্যাংক লুট-লক্ষ কোটি টাকা পাচার-রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার লাইসেন্স বা সম্মতি দেয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। সময় আসছে বোঝার বাংলাদেশের মানুষ জানে কখন কাকে ঠেকাতে হবে। ৯৬ সালে সে বিএনপিকে ঠেকায় নাই? ২০০১ সালে আওয়ামী লীগকে ঠেকায় নাই? ২০০৮ সালে আবার বিএনপিকে ঠেকায় নাই? তারপর তো আর জনগণকে সুযোগই দেয়া হয় নাই। ফলে সময় এসেছে ঠেকাঠেকির দায়িত্ব জনগণের হাতে তুলে দিয়ে এই আদিপাপ থেকে বের হয়ে আসার।’

ফারুকীর ভাষ্য, ‘প্রশ্ন আসতে পারে, জনগণ যদি ভুল লোককে নির্বাচিত করে? ভুল শক্তি সরকারে আসে? গরিষ্ঠের শাসন মানলে আপনাকে এটা মেনে নিতেই হবে। মেনে নিয়ে আপনি ভুল লোকের ভুল কাজের তীব্র সমালোচনা করবেন, প্রতিবাদ করবেন, আদালতে যাবেন! তাকে লাইনে রাখার জন্য যা যা করা দরকার সবই করবেন। এবং পরের ভোটে ঠেকিয়ে দিবেন। এটার নামই গণতন্ত্র।’

শেষে ফারুকী বলেন, ‘আর তা না করে আপনি যদি মনে করেন আমরা আর আমার কতিপয় অনুসারীই দেশের ভালো কিসে হবে সেটা সবচেয়ে ভালো বুঝি, তাহলে আপনি আরেকটা হাসিনা হয়ে উঠার প্রক্রিয়ায় আছেন। কানে বাজে এখনো তার কথা, “আমার চেয়ে এই দেশের ভালো কে বেশি বোঝে”?’

 

জনপ্রিয়