জমকালো আয়োজনে টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’র ৬২তম আসর। এতে মুকুট জিতে ভিয়েতনামের প্রথম বিজয়ী হিসেবে ইতিহাস গড়লেন হুইন থি থান থুই।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ৭০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয় ছিনিয়ে নেন তিনি।
বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ২২ বছর বয়সী এই সুন্দরী বলেন, ‘সবার প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি ভিয়েতনামের প্রথম মিস ইন্টারন্যাশনাল। অবশেষে আমি নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছি। ভিয়েতনামসহ সারা বিশ্বের ভক্তদের কাছ থেকে সমস্ত ভালবাসা এবং সমর্থন পেয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ।’
২০০২ খ্রিষ্টাব্দে জুলাই মাসে জন্মগ্রহণ করা থান থুই ছোটবেলা থেকেই মডেলিংয়ে বেশ আগ্রহী ছিলেন তিনি।
প্রতিযোগিতার পাশাপাশি একাডেমিক ক্ষেত্রেও তিনি অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছেন। তিনি বর্তমানে দা নাং ইউনিভার্সিটির অধীনে ইউনিভার্সিটি অব ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ এবং গ্রিনউইচ ইউনিভার্সিটি ভিয়েতনামে অধ্যয়ন করছেন। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পৌরসভা আয়োজিত সাহিত্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ইউনিভার্সিটি অব ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ থেকে প্রবেশনারি স্কলারশিপ লাভ করেন এবং থাইল্যান্ডের উবন রাতচাথানি ইউনিভার্সিটিতে স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হন।
আন্তর্জাতিক মঞ্চ জয় করার আগে হো চি মিন সিটির ফু থো স্টেডিয়ামে মিস ভিয়েতনাম ২০২২-এর মুকুট জয় করেছিলন থান থুই। মিস দা নাং ইউনিভার্সিটি ২০২১ এবং মিস এলিগ্যান্ট স্টুডেন্ট দা নাং ২০২১-এ প্রথম রানার-আপ হয়েছিলেন।
নিজের দেশের র্যাম্পে হেঁটেছিন বহুবার। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের জন্য মডেলিং হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়া সিউল ফ্যাশন সপ্তাহে মঞ্চেও তার উপস্থিত ছিল।
সাক্ষাৎকার পর্বে থান থুয়িকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘আপনার প্রজন্মের শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রভাবিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক উন্নয়ন কী ছিল? জবাবে থান থুয়ি কোভিড-১৯ মহামারির সময় শিক্ষার ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রসার বিকাশের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর সময় আমাদের ঘরে বসে অনলাইনে পড়তে হয়েছিল। এটি এডটেক (শিক্ষা এবং প্রযুক্তির সংমিশ্রণ) বিকাশের একটি সুযোগ ছিল। আমি আশা করি শিক্ষার্থীরা এডটেকের মাধ্যমে আরও বেশি সুযোগ ও শিক্ষা পেতে পারবে।’
থান থুয়ি ভাষাতত্ত্বের শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ইংরেজি ও কোরিয়ান ভাষা শিখছেন। প্রাথমিক সাক্ষাৎকারে তিনি উল্লেখ করেন যে, জাপানি সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি জাপানিজ ভাষা শেখারও ইচ্ছা পোষণ করেন।