টিভি নাটক ও সিনেমার অভিনেত্রী হিসেবেই পরিচিত আশনা হাবিব ভাবনা। নাচেও যথেষ্ট খ্যাতি আছে তাঁর। তবে ভাবনা নির্দিষ্ট কিছু নিয়ে আটকে থাকেন না। নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চান নিজের প্রতিভা। তাই অভিনেত্রীকে মাঝেমধ্যে দেখা যায় লেখালেখি করতে, কখনো ছবি আঁকতে। এ পর্যন্ত কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই পাওয়া যায় ভাবনার আঁকাআঁকির প্রমাণ।
কয়েক বছর ধরে আরেকটি কাজ বেশ মনোযোগ দিয়ে করছেন ভাবনা। যুক্ত হয়েছেন মঞ্চনাটকের সঙ্গে। শনিবার প্রথমবারের মতো নাটকের চরিত্র হয়ে মঞ্চে উঠলেন তিনি। অভিনয় করেছেন নীলিমা ইব্রাহিম রচিত ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নাটকে। প্রথমবারের মতো মঞ্চে অভিনয় করতে পেরে আপ্লুত ভাবনা। বলছেন, ‘সত্যি এক অসাধারণ অনুভূতি। আমি সব সময় চাই ভালো অভিনেতা হতে। এই যাত্রায় কখনোই ছাড় দিতে চাই না। ভালো অভিনেতা হওয়ার পথ খুঁজি প্রতিনিয়ত। আর আমাকে সেই পথ দেখান সৈয়দ জামিল আহমেদ ও মহসিনা আক্তার।’
বছর দুয়েক আগে দেশের প্রখ্যাত নির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমেদের একটি কর্মশালা করেছিলেন ভাবনা। কর্মশালাটি করে তাঁর এতই ভালো লাগে যে এরপর জামিল আহমেদের তত্ত্বাবধানে আরও তিনটি কর্মশালায় অংশ নেন। এ কর্মশালার অংশ হিসেবেই ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ প্রযোজনায় অভিনয়ের জন্য মঞ্চে উঠেছেন ভাবনা। তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, এত দিন পরে কেন মঞ্চনাটকের প্রতি ঝুঁকলেন? উত্তরে ভাবনা জানালেন, অভিনয় শেখার তাড়না থেকেই সময় দিচ্ছেন মঞ্চনাটকে।
ভাবনা বলেন, ‘মঞ্চের প্রতি আমার আগ্রহ সাম্প্রতিক নয়। ছোটবেলা থেকেই মঞ্চে কাজ করছি। কিন্তু সেটা নাচে। অভিনয়ে নয়। আমার বাবা মঞ্চে কাজ করতেন। আমাদের একটা নাটকের দলও ছিল প্রেক্ষাপট নামে। সেখানে বাবার অভিনয় ও নির্দেশনা দেখেছি। বড় হওয়ার পর যখন জামিল স্যারের ‘‘রিজওয়ান’’, ‘‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’’, ‘‘মন্ত্রাস’’ নাটকগুলো দেখলাম; আমাকে ভীষণ প্রভাবিত করল। এ কারণে স্যারের কর্মশালাগুলো করেছি। আমি সব সময় শিখতে চেয়েছি। একজন অভিনেতা কীভাবে তৈরি হন তাঁর চরিত্রের জন্য—এ বিষয়গুলো আমাকে ভাবায়। ফলে আমার মনে হয়েছে, মঞ্চই অভিনয় শেখার আসল জায়গা।’