সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেছেন গায়িকার বড় বোনের মেয়ে অভিনয়শিল্পী শম্পা রেজা।
জানা গেছে, তিনি কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছেন তিনি। চার দিন ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তিনি। এর আগে কয়েক দিন ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শম্পা রেজা জানালেন, পাপিয়া সারোয়ারের দুই মেয়ে জারা ও জিশান যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় থাকেন। মায়ের অসুস্থতার খবরে দুই মেয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।
পরে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।
পাপিয়া ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতষ্ঠা করেছিলেন।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্র–গানের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন। আধুনিক গানেও আছে তাঁর সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাঁকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে পেয়েছেন একুশে পদক।