ঢাকা বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ , ২৪ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

প্রবীর মিত্রের জানাজা এফডিসিতে, দাফন আজিমপুরে

বিনোদন

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১০:০২, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

সর্বশেষ

প্রবীর মিত্রের জানাজা এফডিসিতে, দাফন আজিমপুরে

ঢাকাই সিনেমার নন্দিত অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে নেয়া হবে এফডিসিতে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এফডিসি থেকে প্রবীর মিত্রের মরদেহ নেয়া হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা হবে। এরপর রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের স্বর্ণালী যুগের নায়ক প্রবীর মিত্র শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

এর আগে, গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রবীর মিত্রকে। অবস্থা আরও খারাপ হলে আইসিইউতে নেয়া হয় তাকে। ব্লাড লস হয়, প্লাটিলেটও কমে যায়।

১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন বর্ষিয়ান এই অভিনেতা। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রূপালী জগতে আসেন প্রবীর মিত্র। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে। ক্যারিয়ারের শুরুতে কয়েকটি সিনেমায় নায়ক হিসেবে কাজ করলেও পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে দর্শকপ্রিয়তা পান তিনি।

১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান প্রবীর মিত্র। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ‘আজীবন সম্মাননা’তেও ভূষিত হন এ অভিনেতা। তবে একুশে পদক কিংবা স্বাধীনতা পদক পাননি তিনি। সবশেষ এ অভিনেতাকে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপাপ্ত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ নামে একটি সিনেমায় দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ দীর্ঘ ৫ দশকের ক্যারিয়ারে চারশ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

জনপ্রিয়