‘সবাইকে চলে যেতে হবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু কে কীভাবে যাবে সেটাই হল তার ভাগ্য। আখেরাত যার সুন্দর হবে তিনি হলেন সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবান। সেদিক দিয়ে আমাদের প্রবীরদা অনেক ভাগ্যবান। দীর্ঘ সময় তিনি অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। এই সময়টা তিনি ধর্মকর্ম নিয়ে ছিলেন। সহকর্মী হিসেবে আমরা তাকে দেখেছি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এফডিসিতে প্রয়াত অভিনেতা প্রবীর মিত্রের জানাজা শেষে কথাগুলো বলছিলেন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকাই সিনেমার ‘রঙিন নবাব’ খ্যাত অভিনেতা প্রবীর মিত্র। সোমবার দুপর সাড়ে ১২টার দিকে এফডিসিতে আনা হয় তার মরদেহ। লাশবাহী গাড়ি এফডিসিতে পৌঁছানোর পর ভারী হয়ে ওঠে পুরো চত্বর। কান্নায় ভেঙে পড়েন দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে এফডিসির জহির রায়হান ভিআইপি প্রজেকশনের সামনে অনুষ্ঠিত হয় ৮৩ বছর বয়সী এই অভিনেতার প্রথম জানাজা। সেখানে জানাজা শেষে এরপর তার মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই প্রঙ্গনে।
প্রবীর মিত্রকে শেষ বিদায় জানাতে এফডিসিতে এসেছিলেন নায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, মিশা সওদাগর, মেহেদী, বাপ্পী চৌধুরী, অভিনয়শিল্পী সুব্রত, নাসরিন, রোমানা মুক্তি, পরিচালক ছটকু আহমেদ, দেলোয়ার জাহার ঝণ্টু, শাহিন সুমন, মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাইফ চন্দনসহ চলচ্চিত্র জগতের অনেকে।
অভিনেতা প্রবীর মিত্রের শেষে বিদায়ে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া আসেননি অনেক তারকাশিল্পী। বিষয়টি নিয়ে খানিকটা আক্ষেপের সুরে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে অনেকেই আসতে পারেননি। তারপরও অনেকেই এসেছেন। এটা নিয়ে তো আমার কিছু বলার নেই। যারা এসেছেন এবং যারা আসতে পারেননি সবাই যেন প্রবীর দাদার জন্য দোয়া করেন। আর এখানে যদি আমার জানাজা হয় তাহলে আপনারা সবাই আমার জানাজায় আসবেন। আমি আমন্ত্রণ জানালাম। সেই সঙ্গে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’
এছাড়া প্রবীর মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস), চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, ফিল্ম ক্লাবসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন।