ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার নিপুণকে ওসমানী বিমানবন্দরে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ঢাকা-সিলেট হয়ে তিনি যুক্তরাজ্য যাওয়ার পথে শুক্রবার সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরত দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। ছাড়া পেয়েই দেশের একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন নিপুণ।
পুলিশ হেফাজতে কাটানোর বিষয়টি অস্বীকার করে অভিনেত্রী বলেন, আমি বনানীর বাসায় আছি। এই খবর ভুয়া। এর বাইরে এ বিষয়ে আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না। ফালতু সব বিষয়।
আরো পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হলো নিপুণ আক্তারকে
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, ‘সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে গিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। এ সময় একটি গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তিতে তাঁকে আটকে দেয়া হয়। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়।’
আরো পড়ুন: বিমানবন্দরে পুলিশ হেফাজতে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের নামে সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে কোনো মামলা নেই। তাঁকে যুক্তরাজ্যগামী ফ্লাইট থেকে অফলোড করা হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম আরো বলেন, ‘সিলেট থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য তিনি সড়কপথে সিলেটে এসেছিলেন। ইমিগ্রেশনে তাঁকে আটকে দেওয়ার পর তিনি আর ওই বিমানে উঠতে পারেননি।’
সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, আজ সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সিলেট থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ২০১ ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের হিথরো যাওয়ার কথা ছিল। ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য মুখে মাস্ক ও চোখে চশমা পরে ইমিগ্রেশনে উপস্থিত হন। এ সময় দেশের একটি গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের সন্দেহে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে ওই যাত্রী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানান। তবে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের পাসপোর্টে তাঁর নাম নাসরিন আক্তার উল্লেখ করা ছিল। তিনি চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার কি না জানতে চাইলে নিশ্চুপ থাকেন। পরে গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তিতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁর যাত্রা বাতিল করে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।