
চিত্রনায়িকা পরীমনিকে গ্রেফতার নিয়ে আলোচনা যেমন রয়েছে, তেমনি তাঁকে নিয়ে সমালোচনাও কম হয় না। কাজের বাইরে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই আলোচনাটা হয় বেশি। শোনা যাচ্ছে, পরীমনি প্রেম করছেন তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে। তাঁদের একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করতেও দেখা গেছে। ইদানীং এমনও দেখা যাচ্ছে, পরীমনি তাঁর ফেসবুক পেজে শেখ সাদীর গাওয়া গান শেয়ার করছেন।
সোমবার এসেছে শেখ সাদীর গাওয়া নতুন গান ‘মনে নাই দয়া’। এই গানটি পরীমনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছেন। ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে এক শব্দের একটি ক্যাপশন দিয়েছেন।
গান নিয়ে পরীমনির সেই ফেসবুক পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, এভাবে সাদী ভাইকে ‘ছ্যাঁকা’টা না দিলেও হতো, পরী। এমন মন্তব্যে পরীমনিও চুপ থাকেননি। কিছুক্ষণ পরই উত্তরে পরীমনি লিখেছেন, ‘কেবল তো শুরু। সারাজীবনই দেব।’পরীমনির উত্তরে অনেকেই তাঁদের রিঅ্যাকশন দিয়েছেন।
পরীমনির পোস্টে সাদা রঙের ভালোবাসার ইমোজি দিয়েছেন শেখ সাদী। এমন ইমোজিতে সন্তুষ্ট হননি পরীমনি, তা মন্তব্যে বোঝা গেছে। পাল্টা মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, ‘লাল লাগবে আমার।’
ছয় বছর আগে ‘ললনা’ শিরোনামের গান প্রকাশ করে নিজের কথা জানান দিয়েছিলেন তরুণ গায়ক শেখ সাদী। এরপর যথা বিরতিতে নিজের ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে গান প্রকাশ করতে থাকেন। এ মাসের শুরুতে সাদী প্রকাশ করেন ‘কুফা’ গানটি। সেই গানের জন্যও শুভকামনা জানিয়েছিলেন পরীমনি। লিখেছিলেন, সাদীর গাওয়া ‘কুফা’ গান বিস্ফোরণ হবে।
শেখ সাদী সম্প্রতি পরীমনির মামলায় জামিনদার হয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। পরীমনির জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেখ সাদী বলেছিলেন, ‘পরীমনি আমার সহকর্মী। যখন গণমাধ্যমে পরীমনির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খবর শুনলাম, তখন বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। এরপর পরীমনির সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। এ জন্য আমিও আদালতে যাই। জামিন হওয়ার পর তাঁর আইনজীবী একজন জামিনদার হন। আমিও আরেকজন জামিনদার হলাম।’
এদিকে শেখ সাদীর জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘হঠাৎ আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম বলে আদালতে যেতে পারিনি। যখন শুনলাম আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, খবরটি যখন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তখন আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এমন পরিস্থিতিতে আমার বন্ধুবান্ধবেরা আমাকে সাহস জুগিয়েছে। শেখ সাদীও আমার সহকর্মী। তার সঙ্গেও গতকাল কথা হয়। আদালতে শুনানির সময় সে ছিল। জামিন পাওয়ার পর আইনজীবী জামিনদারের পাশাপাশি স্থানীয় একজন জামিনদারের প্রয়োজন হয়। শেখ সাদী তখন জামিননামায় স্বাক্ষর করে।’