
কয়েকদিন ধরেই সংবাদের শিরোনাম আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে তার দুটি পোস্ট নানা জল্পনা সৃষ্টি করে নেটিজেনদের মাঝে।
তাদের ধারণা, তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে নায়িকার সম্পর্কে ফাটল ধরেছে, আর তেমন কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছেন পরীমণি।
এমন আবহের মাঝে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন পরীমণি। নায়িকা জানান, তার ম্যানেজার তুরানকে জন্মদিনের 'সারপ্রাইজ' দিতে কক্সবাজারে ছুটে যান তিনি। সঙ্গে নায়িকা এও জানান, তার সহকর্মীরাই তার পরিবার।
তবে ধারণা করা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে একমাত্র ছেলে পূণ্যকে নিয়ে কক্সবাজারেই অবস্থা করছেন তিনি। সেখান থেকে গত রোববার সকালে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।
যা দেখে স্পষ্ট, অবকাশ যাপনে সমুদ্রের পাড়ে 'একটা সুন্দর সকাল' কাটালেন পরীমণি। সেখান থেকে ছেলে পূণ্য ও সহকর্মীদের নিয়ে নানা মুহূর্তও ভাগ করে নেন নায়িকা।
পরদিন সামাজিক মাধ্যমে একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে নেন পরীমণি। সিম্পল, ফিটিং আউটফিটেই এদিন নিজেকে ধরা দেন নায়িকা। পরনে সবুজ টি শার্ট; নানা পোজ দিয়ে সেলফিতে নিজেকে মেলে ধরলেন নায়িকা। আর ক্যাপশনে লেখেন 'সকাল সকাল'।
পরীমণির এই ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসতেই একরকম তোলপাড় নেটমাধ্যম; আসে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়াও। নায়িকার মোহনীয় অবতার যেমন ভক্তদের মনে নাড়া দেয়, তেমনি নায়িকাকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যও করেন কেউ কেউ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের পর দেখতে পাচ্ছি যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকাণ্ড মূলত প্রমাণ করে এই দেশে এখনও আওয়ামী দোসররা বিরাজমান।
দেশকে অস্থিতিশীল করার যারা পায়তারা করছে তাদের প্রতিহত করার জন্য ছাত্রসমাজ সব সময় প্রস্তুত। আমরা এখান থেকে সরকারের কাছে আহ্বান করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে পারভেজ হত্যার বিচার করতে হবে। অহরহ হত্যা আর ধর্ষণের শিকার এই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।
এখনও পর্যন্ত আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তাদের দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তি দিতে পারেননি। তিনি এই সব ঘটনার যথাযথ বিচার না করতে পারলে আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।
সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা ২৪ এর আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারেকে উৎখাত করতে পারলেও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে এখনো তাদের দোসররা বসে আছে। যার ফলে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।
এমনকি এ সব ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক কোনো বিচার আমরা দেখতে পাইনি। উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে আহ্বান করছি এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত কার্যকর করুন।
সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল বলেন, আমরা ৫ আগস্টের পর আশা করছিলাম বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো প্রশাসনের কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখছি না। সাধারণ মানুষ এখনো ভয়ের মধ্যে রয়েছে। আমরা পারভেজ হত্যার সাথে জড়িত সবার গ্রেফতারের দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সবার অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাই। হত্যাকারী যেই দলের হোক না কেন তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।