ঢাকা রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

অতিচিন্তা দূর করবে যেভাবে

লাইফস্টাইল

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৭:৩৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

অতিচিন্তা দূর করবে যেভাবে

অনেকেই অহেতুক চিন্তা করে। সে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীই হন বা পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি। যেখানে চিন্তার কিছু নেই সেখানেও কল্পনায় বিপদ তৈরি করে দুশ্চিন্তা করেন, অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতিচিন্তায় নিজে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাই নয়, অন্যরাও অসুবিধার মধ্যে পড়ে। অতিচিন্তা দূর করার উপায় জানিয়েছেন শ্রাবন্তী বড়ুয়াদুঃখকে সহজভাবে নাও

অতিচিন্তা আমাদের মনকে গ্রাস করে মূলত দুঃখের আবির্ভাবের আশঙ্কা থেকে। আমাদের জীবন অবিমিশ্রিত সুখের নয়। এখানে সুখ যেমন আছে তেমনি দুঃখও আছে। সুখ যেমন চিরস্থায়ী নয়, তেমনি দুঃখও অবধারিত। এ থেকে মুক্তি নেই। তাই দুঃখ বা বাধাবিঘ্নকে জীবনের একটি অংশ হিসেবেই গ্রহণ করে নেয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এই সত্যকে গ্রহণ করতে পারলেই দুঃখের জন্য মন তটস্থ হয়ে থাকবে না। অতিচিন্তার হাত থেকেও মিলবে মুক্তি।

ইতিবাচকতার সঙ্গে থাকো

অতিচিন্তা থেকে বাঁচতে হলে নেতিবাচক সঙ্গ ত্যাগ করে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করতে হবে। চারপাশে ইতিবাচকতার বলয় থাকলে অতিচিন্তা আক্রান্ত করতে পারবে না। এমন মানুষের চারপাশে অবস্থান করবে, যারা তোমাকে অনুপ্রেরণা দেবে। অনুপ্রেরণা পেলে মানুষের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়। মানুষ বড় হয়। সফল হয়। সফলতা তোমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করবে। যত সাফল্য পাবে তত আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দুশ্চিন্তা কমবে।অতিচিন্তা হ্রাস হবে।‘যদি এমন হয়’ ভাবা ত্যাগ করো

অতিচিন্তায় অভ্যস্ত ব্যক্তি কল্পনায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আতঙ্কগ্রস্ত হয় এবং দুশ্চিন্তা করে। ‘যদি এমন হয় তাহলে তখন আমি কী করব’, ‘যদি সে আমাকে এটা বলে তখন আমি কী করব’ প্রভৃতি পরিস্থিতি কল্পনা করে সে নিজে নিজেই ভয় পায় এবং তটস্থ থাকে। ‘যদি এমন হয়’ কথাটি মনে উদয় হলেই তা না-বোধক শব্দ হয়ে যায়। এই সন্দেহ এমন এক পরিস্থিতিতে নিয়ে যায়, যেখানে কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তাই এমন ভাবা থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি ভাবতেই হয় তাহলে নিজের জন্য ভালো কিছু ভাবো, নেতিবাচক সম্ভাবনাই কেন ভাবতে হবে?

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

শারীরিক অসুস্থতা মানুষকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে ফেলে। তাই স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে। স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে কোনো কাজই সুসম্পন্ন করা যায় না। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত হলেই শরীর সুস্থ থাকে। শরীর সুস্থ থাকলে মনও প্রফুল্ল থাকে। অতিচিন্তা কাবু করতে পারে না।

নিখুঁত কাজ আশা করবে না

কোনো কাজই নিখুঁত হয় না। শতভাগ নিখুঁত কাজ শুধু কল্পনাতেই সম্ভব। প্রাকৃতিকভাবে কোনো কিছুই নিখুঁত নয়। অনেকে কাজ নিখুঁত হলো কিনা, কে কী বলবে ইত্যাদি নিয়ে অহেতুক চিন্তা করে। এটি ঠিক নয়। তাই কোনো কিছু নিখুঁত পেতে চাইলে কেবল সময়ের অপচয়ই হবে আর মানসিক পীড়া বাড়বে। যে কোনো কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো কাজটি শুরু করা এবং নির্দিষ্ট সময়ে তা শেষ করা। চেষ্টা করতে হবে যথাসম্ভব কম খুঁত যেন থাকে। কিন্তু নিখুঁত কাজ করতে গিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা আর সময়ের অপচয় করা ঠিক হবে না। 

শিক্ষা পরামর্শ ছোটখাটো বিজয় উদযাপন

অতিচিন্তা দূর করতে হলে সফলতাকে উদযাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। মন ও মননে যখন আত্মবিশ্বাসহীনতা গেড়ে বসে তখন নিজের অস্তিত্ব সংকটে আছে এমন মনোভাব দেখা দেয়। আর এমন কাল্পনিক বাস্তবতা থেকেই জন্ম নেয় অতিচিন্তার বদঅভ্যাস। কিন্তু জীবন এক দীর্ঘ সফরের নাম। কখনো কখনো চূড়ান্ত সফলতা আসতে প্রয়োজনের থেকে বেশি সময় নিতেই পারে। এতে অধৈর্য হওয়ার কিছু নেই। তাই উদযাপনের জন্য চূড়ান্ত সফলতার অপেক্ষার করার দরকার নেই। ছোটখাটো অর্জনেও উদযাপন করা যায়। এতে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। চূড়ান্ত সফলতার জন্য পরিশ্রম করা ও ধৈর্য ধরা তাহলে সহজ হবে। এগুলোর উদযাপন আরো উজ্জীবিত করে তুলবে। এতে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে, মনকে প্রফুল্ল রাখে, কাজে আগ্রহী করে তুলে।

নিজেকে ক্ষমা করতে শেখো

প্রতিটি মানুষই কখনো না কখনো ব্যর্থতার শিকার হয়। সবারই ভুল হয়। এ নিয়ে অনুতাপ নয়। ভুল থেকে শিক্ষা নাও। ভুল তখনই মূল্যবান যখন তা থেকে শিক্ষা  নেবে। অনুতাপে না ভুগে নিজেকে ক্ষমা করে দাও। নিজেকে ক্ষমা করতে না পারলে আত্মবিশ্বাসে ক্ষয় ধরবে ধীরে ধীরে। তখন নিজের ওপর নিজেই আস্থা রাখতে পারবে না। অতিচিন্তা শেকড় গেড়ে বসবে। 

জনপ্রিয়