অনেকেই আছেন প্রায় সারা বছরই অসুস্থ থাকেন। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক কম থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম, তাদেরই সর্দিকাশির মতন সমস্যা বেশি হয়।
এছাড়াও বড় রোগের ঝুঁকিও থাকে। যারা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তারা অবশ্যই খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার রাখুন। এতে আপনার বড় রোগের ঝুঁকি কমবে। সেই সঙ্গে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়বে।
পালং শাক
শীতকাল শুরু হতে দেরি নেই। এই সময় বাজারে টাটকা পালং শাক পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত পালং শাক খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ থাকে।
ফল
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্যতালিকায় কমলালেবু, আঙুর রাখুন। এসব ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
আখরোট
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত আখরোট খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
ব্রকলি:
ব্রকলিতে থাকা সালফোরেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে বড় রোগের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
দুধ ও হলুদ
দুধের সঙ্গে নিয়মিত হলুদ মিশিয়ে খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। ফুসফুস ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে শরীরে শক্তিও বাড়বে।
রসুন:
রসুনে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে, বড় রোগের ঝুঁকি কমাতে অবশ্যই রসুন খান। দই: দই হচ্ছে প্রোবায়োটিক একটি খাবার। যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিম
প্রোটিনের সবথেকে ভালো উৎস হল ডিম। নিয়মিত ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞদের মতে, বলছেন, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্যাভ্যোসের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। মানসিক চাপ কমাতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। ঘরের বাইরে বের হতে মাস্ক ব্যবহার করুন।