শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে যে কোনও রোগ সবচেয়ে আগে বাসা বাঁধে শিশুর শরীরে। তাই শিশুকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। শীতে শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে স্বাস্থ্যকর খাবার তো খাওয়ানো জরুরি। তবে রোগবালাই থেকে দূরে রাখতে সন্তানকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়াতে পারেন কিছু পানীয়।
শীতে শিশুদের ঠান্ডা লাগা কার্যত প্রত্যেক বাঙালি বাড়ির সমস্যা। আর খুদেদের ঠান্ডা লাগা মানেই তার সঙ্গে খাওয়াদাওয়ায় অনীহা ও কান্নাকাটি বাধ্যতামূলক। শহরে এখনও তেমন ভাবে শীত না পড়লেও, রাতের দিকে হালকা শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে ইতিমধ্যেই। শীতকালে শিশুদের নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন অভিভাবকেরা। কারণ, শীতকালেই যত সর্দিকাশি, হাঁচি, জ্বরের সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সংক্রমণজাতীয় সমস্যা সবচেয়ে আগে হানা দেয় শিশুদের মধ্যে। কারণ, শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে যে কোনও রোগ সবচেয়ে আগে বাসা বাঁধে শিশুর শরীরে। তাই শিশুকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। শীতে শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাতে স্বাস্থ্যকর খাবার তো খাওয়ানো জরুরি। তবে রোগবালাই থেকে দূরে রাখতে বরং সন্তানকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়াতে পারেন কিছু পানীয়।
জাফরন দুধ
শীতে অ্যালার্জির সমস্যা বেশ বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়। সন্তানকে সংক্রমণমুক্ত রাখতে বরং খাওয়াতে পারেন জাফরন মেশানো দুধ। জাফরন সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। শিশুরা এমনিতেই দুধ খেতে চায় না। তবে খানিক জাফরন মিশিয়ে দিলে বেশ সুস্বাদু লাগবে। শীতে শিশুকে অবশ্যই এই পানীয় খাওয়ান।
গাজরের রস
শীতকালে গাজরের মতো উপকারী জিনিস খুব কমই আছে। শীতে সন্তানকে ফিট রাখতে বরং ভরসা রাখতে পারেন গাজরের রসে। গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়ামের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। প্রতিটি উপাদানই শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগায়। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রস ছাড়া অন্য ভাবেও গাজর খাওয়াতে পারেন সন্তানকে।
কমলালেবুর রস
কমলালেবু শুধু স্বাদের নয়, যত্ন নেয় শরীরেরও। কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এগুলি শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত থাকে শিশুরা। কমলালেবুর রস ছাড়াও বিটের শরবতও কিন্তু শিশুদের জন্য অত্যন্ত ভাল।