ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

ফুলকপির যত উপকারিতা

লাইফস্টাইল

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

ফুলকপির যত উপকারিতা

শীতের তরতাজা ফুলকপি চলে এসেছে বাজারে। পুষ্টিগুণে ভরপুর শীতের সবজিটি নিয়মিত রাখা চাই পাতে। তবে রসনা বিলাসের পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধে শীতের এই সবজির রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। কারণ, ফুলকপি খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। হৃদরোগ, ক্যানসারসহ জটিল কিছু রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে ফুলকপিতে থাকা খনিজ।

অন্যান্য শীতকালীন সবজির মতই ফুলকপিতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’। এছাড়া আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সালফার মেশানো ক্যালসিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। ফুলকপির ডাঁটা ও সবুজ পাতাতেও ক্যালসিয়াম বিদ্যমান রয়েছে। 

ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে, যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। গবেষণা মতে, সালফোরাফেন ডিএনএ-এর মিথাইলেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।

পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপি বিশেষ কার্যকরী। ফুলকপি ক্যানসার সেল বা কোষকে ধ্বংস করে। এছাড়া মূত্রথলি ও নারীদের প্রোস্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যানসার প্রতিরোধে ফুলকপির ভূমিকা অপরিসীম।

গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ফুলকপি বেশ উপকারী। কারণ, এতে ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বেশি। এসব বৈশিষ্ট্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। 

ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক ফাইবার। এছাড়া বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে উপাদানটি।

ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে। কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
চোখের যত্নে ফুলকপির কোনো তুলনা হয় না। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চোখ সুস্থ রাখতে বেশি করে ফুলকপি খাওয়া উচিত।

ফুলকপি কার্বোহাইড্রেড বা শর্করার মাত্রা খুব কম। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে কিডনি সুস্থ রাখতে ফুলকপি সহায়ক হয়।
ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন বি৬ এবং আরও কিছু নিউট্রিয়েন্ট। এগুলো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে মানসিক ও ডিপ্রেশন কমাতেও সাহায্য করে।  

ফুলকপিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ‘সি’ ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধেও সহায়ক।  

এত এত ভালো গুণ থাকার পরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই জনপ্রিয় সবজি না খাওয়াই ভালো। ফুলকপি আঁশ ও পানিসমৃদ্ধ। অতিরিক্ত ফাইবার বা আঁশসমৃদ্ধ যে কোনো কিছু অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ব্লটিং বা পেটফাঁপা ও গ্যাস তৈরি হতে পারে। ফাইবার বা আঁশ আমাদের হজম হয় না, এ জন্যই এটি উপকারী।  কিন্তু যদি খুব বেশিই খেয়ে নিই, তাহলে হজম না হওয়াটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া ফুলকপিতে ভিটামিন ‘কে’ এর পরিমাণ বেশি, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাদের জন্যও ভিটামিন ‘কে’ সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।

জনপ্রিয়