অনেকের জন্য ওজন বাড়ানোটা কমানোর মতোই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। শুধু বেশি খেলেই হবে না; স্মার্ট রুটিন, কৌশলগত পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়েও নজর রাখতে হবে। আমাদের বিপাক নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি আপনার বিপাক নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে চান তবে করতে হবে কিছু কাজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন বাড়ানোর সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায়-
ঘুমানোর আগে স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় খাবার
শুধু চা বা কিছুই না দিয়ে আপনার দিন শেষ করার পরিবর্তে, এক মুঠো বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেছে নিন। এটি আপনার শরীরকে ধীর-হজমকারী ক্যালোরি সরবরাহ করবে যা পেশী মেরামত এবং বৃদ্ধিতে জ্বালানি দেয়। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে যা বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।
তরল ক্যালোরি
তরল ক্যালোরি পান করা ওজন বাড়ানোর জন্য একটি আন্ডাররেটেড কৌশল। দুধ, কলা, পিনাট বাটার এবং ওটসের দিয়ে ক্যালোরি-ঘন স্মুদি তৈরি করুন। এই পানীয় পেটের জন্য ভালো। সেইসঙ্গে যারা খাবার খেতে চায় না তাদের জন্যও সহজ।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
সালাদ, পাস্তা বা স্যুপে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল যোগ করলে তা স্বাস্থ্যকর উপায়ে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করতে পারে। অলিভ অয়েল শুধুমাত্র ক্যালোরি সমৃদ্ধ নয় বরং এটি হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং প্রদাহ কমায়। সেইসঙ্গে পুষ্টির শোষণকে উন্নত করে শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়া কার্যকর রাখে।
ঘন ঘন সুষম খাবার
প্রতি ৩-৪ ঘণ্টা পরপর খাওয়ার অভ্যাস বিপাককে স্থির রাখে এবং ক্যালোরি ঝরানোর প্রক্রিয়াকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে বাধা দেয়। প্রোটিন, জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির সংমিশ্রণ সহ সুষম খাবারের দিকে মনোনিবেশ করুন।
ধীরে ধীরে খাওয়া
এটি অদ্ভুত শোনাতে পারে, তবে খাবার ধীরে ধীরে চিবানোর অভ্যাস শরীরকে আরও ভালোভাবে হজম করতে এবং পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে। হজমশক্তি উন্নত হলে স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ানোর ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, এই কৌশলটি ক্ষুধার হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা ধীরে ধীরে বিপাককে প্রভাবিত করতে পারে।