শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে ত্বকে বিরূপ প্রভাব পড়ে। মুখ ও হাত-পায়ের চেয়ে ঠোঁটের চামড়া পাতলা হওয়ায় শীতে ঠোঁট একটু বেশিই কাবু হয়। অর্থাৎ ফেটে যায়। কখনো কখনো চামড়া ওঠে এবং রক্তও পড়ে। তাই এসময় ঠোঁটের বাড়তি যত্ন নেওয়া চাই।
বারবার জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজালে ঠোঁট ফাটে কিংবা কালো হয়ে যায়। পুষ্টিহীনতা, পানিশূন্যতা, সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও ঠোঁটের চামড়া ফেটে যেতে পারে। নিম্নমানের ঠোঁটের প্রসাধনী ব্যবহার করলেও ঠোঁট শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়।
ঠোঁটের যত্নে বাজারচলতি প্রসাধনীর উপর অনেকেই ভরসা করেন। এতে আবার হিতে বিপরীত হয়। বরং ঠোঁটের যত্ন নিতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার উপর।
• ঠোঁটের যত্নে অনেকেই পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করেন। তবে শুধু পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে চলবে না। পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে খানিকটা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। তারপর তুলো দিয়ে সারা ঠোঁটে বুলিয়ে নিন। এতে কোমল হবে ঠোঁট।
• ত্বকের যত্নে অনেকেই গ্লিসারিন ব্যবহার করেন। তবে গ্লিসারিন ঠোঁটেও ব্যবহার করতে পারবেন। গ্লিসারিনের সঙ্গে অল্প অলিভ অয়েল মিশিয়ে ঠোঁটে মাখতে পারেন। ময়েশ্চারাইজারের কাজ করবে।
• শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা এড়াতে ভরসা হতে পারে তিলের তেল। তিলে থাকা নানা স্বাস্থ্যকর উপাদান ভেতর থেকে ঠোঁটের যত্ন নেয়। ঠোঁট মসৃণ ও মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে এটি।
আরও যা করবেন
• শুষ্কতা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
• ঠোঁট ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল ও সবজি খেতে হবে। বিশেষ করে ভিটামিন 'সি 'যুক্ত ফল যেমন লেবু, জাম্বুরা, কমলা বেশি করে খাওয়া উচিত।
• শীতে লিকুইড লিপস্টিকের বদলে ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ লিপস্টিক ব্যবহার করুন। লিপস্টিক তোলার পর ময়েশ্চারাইজার লাগান।
• ঠোঁটে গোলাপি আভা আনতে কাঁচা দুধের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঘষে তুলে ফেলুন। এতে মরা কোষগুলো উঠে আসবে।