২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ বিদায় নিচ্ছে। আর মাত্র চার পাঁচদিন পর নতুন বছর শুরু হবে। পুরোনো বছরের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, হতাশা, জীবনের টানাপড়েনের হিসেব চুকিয়ে নতুন বছরে নতুন করে পথ চলার শুরু হবে। ২০২৫ সালে জীবনেও আসুক নতুনত্বের ছোঁয়া। নতুন বছরের প্রতিটি দিন কাটুক নতুনত্বের সঙ্গে, কাটুক কিছু সুঅভ্যাসের মধ্যে দিয়ে। মোটকথা নিজের দিকে, নিজের সুস্থতার দিকে ফোকাস করুন।
বছরের শুরু থেকেই সারা বছর নিজেকে ভাল রাখতে কিছু অভ্যাস রপ্ত করে ফেলুন:
নিয়মিত শরীরচর্চা
নীরোগ ও সুস্থ থাকতে বছরের শুরু থেকে শরীরচর্চা করতে হবে। জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হবে তা নয়। বাড়িতেই রোজ অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন। সকালে উঠে হাঁটা, দৌড়নো বা জগিং অথবা সাইকেল চালানোর অভ্যাস করতে পারেন। প্রয়োজনে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে যোগাসন শুরু করুন। স্ট্রেচিং, কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম নিয়মিত করুন। ফুসফুসের জোর বাড়াতে নিয়মিত প্রাণায়াম, ডিপ ব্রিদিং, কপালভাতি অভ্যাস করতে পারেন।
খাবার খান মেপে মেপে
ফাস্টফুড, চিনিজাতীয় খাবার, বাইরের খাবার বাদ দিয়ে নতুন বছর শুরু করুন স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে। বেশি না খেয়ে পরিমিত খাবার খান। তবে, পুষ্টিকর খাবার খাবেন। খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার ও খনিজ উপাদান সম পরিমাণে থাকতে হবে।
সকালে বিপাকপ্রক্রিয়া সবচেয়ে ভালো হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এর হার কমতে থাকে। তাই সব সময় সকালে ভারী খাবার খান। দুপুরে পরিমিত খান এবং রাতে হালকা খাবার খান।
পানি পান জরুরি
সুস্থ থাকতে শরীর আর্দ্র রাখতে হবে। এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি কম পান করলে হজম ঠিকমতো হবে না, পেশির ক্লান্তি বাড়বে। অল্প হেঁটেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। দিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করুন। সম্ভব হলে রোজ ডিটক্স পানীয় পান করুন। এতে শরীরের টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। সকালে খালি পেটে মৌরি-মেথি ভেজানো পানি অথবা বিভিন্ন রকম ফল টুকরো করে তা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করতে পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুম
রাতে অন্ততপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি। অফিস থেকে ফেরার পর বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে আনার অভ্যাস করতে হবে। শোয়ার আগে নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান করলে ঘুম ভালো হবে।
লক্ষ্য স্থির করুন
নতুন বছরে কী কী করতে চান, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, সঞ্চয়ের ভাবনা কেমন— তা লিখে রাখুন। ছোট ছোট ভাবনাও লিখে রাখার অভ্যাস করতে পারেন। নতুন বছরে বেশি করে সঞ্চয়ের পরিকল্পনা করুন। কোন খাতে কত খরচ করবেন আর কত সঞ্চয় করবেন, তার তালিকা আগে থেকেই করে রাখুন।